ঢাকা টেস্ট জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৬৫ রানের টার্গেট রেখেছে বাংলাদেশ। চা বিরতির পর ২২১ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। টাইগারদের শেষ ৫ উইকেটের পতন হয়েছে মাত্র ৩৫ রানে। ৮২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন লায়ন।
সকালের সেশনে দাপটের সাথে খেলে বাংলাদেশ চালকের আসনে বসলেও; লাঞ্চের পর ৫ উইকেট নিয়ে দাপটের সাথে লড়াইয়ে ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। ৯ নম্বরে খেলতে নামা মেহেদি মিরাজের ব্যাটে আড়াইশো পার হয় বাংলাদেশের লিড।
লাঞ্চের পর দুর্দান্ত এক বাউন্সারে সেট ব্যাটসম্যান তামিমকে ৭৬ রানে সাজঘরে ফেরান প্যাট কামিন্স। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোরার সাকিব হতাশ করেছেন আজ। লায়নকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মাত্র ৫ রান করে।
পরপর দুই নির্ভরযোগ্য ব্যটসম্যানের বিদায়ের ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামলে নিয়েছিলেন মুশফিক আর সাব্বির। এই জুটিতে ওঠে ৪৩ রান। কিন্তু ১৮৬ রানের মাথায় সাব্বিরের শট বোলারের হাতে লেগে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের উইকেটে লাগলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে যান ৪১ রান করা মুশফিক। অধিনায়কের বিদায়ে মড়ক লাগে বাংলাদেশের ইনিংস।
দীর্ঘদিন পরে দলে ফেরা নাসির হোসেন উইকেট কিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শুন্য হাতে। একই রানে দলের শেষ প্রতিষ্ঠিত ব্যটসম্যান সাব্বিরও সাজঘরে ফেরেন ব্যাটপ্যাড ক্যাচ দিয়ে।
এর আগে দিনের শুরুতে নাথান লায়নের বলে তাইজুল ইসলাম আউট হলেও তামিম ছিলেন সাবলীল। কামিন্সের প্রথম ওভারেই ২টি বাউন্ডারি মারেন তামিম ইকবাল। লায়নের স্পিনকে ভালোভাবেই মোকাবেলা করে লাঞ্চের আগেই দেখা পেয়ে যান ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফসেঞ্চুরির।
ওদিকে, আবারও ব্যর্থ ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা ইমরুল। মাত্র ২ রানে লায়নের বলে আউট হয়ে গেছেন তিনি। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ শিবিরে যখন অজানা শঙ্কা, তখন হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিক। লায়নকে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে স্পিনের বিরুদ্ধে তার শক্তিমত্তার জানান দেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৬০ রানের জবাবে সাকিব-মিরাজের বোলিং যাদুতে ২১৭ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply