করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসাথে কিছু সাধারণ সাস্থ্যবিধির পরামর্শও দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে আনিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণ রোধে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি নিয়ন্ত্রণে আনতে, সে ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা দরকার। সবাইকে অনুরোধ করবো- মাস্কটা পরে রাখার জন্য। কারণ এটি নাক থেকে সাইনাসে আক্রমণ করে। সবাইকে মাস্ক পরে থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আরও পরামর্শগুলো হচ্ছে— নাকে গরম পানির ভাপ নেওয়া। যখনই কেউ বেশি মানুষের সঙ্গে মিশবেন বা দোকানে যাবেন, মার্কেটে যাবেন বা মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, ঘরে ফিরে একটু গরম পানির ভাপ নেবেন। এগুলো করলে ভাইরাস দুর্বল হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
নিজেকে উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘আর একটি কাজ অবশ্য আমি নিজে করি। সেটি হচ্ছে- নাকে একটু সরষের তেল দেওয়া। আমি জানি এটি গ্রাম্য একটা ব্যাপার মনে হবে। আমি যখন ছোটবেলায় পুকুরে গোসল করতে যেতাম সবসময় আমার দাদি নাকে কানে আর নাভিতে সরষের তেল দিয়ে দিত। এটি করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা করোনাভাইরাস মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছিলাম। কিন্তু আবার সারা বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও ২৯, ৩০ ও ৩১ মার্চ এমন দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে, যা চিন্তাও করা যায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছি বলে বোধহয় মানুষের মাঝে একটি বিশ্বাস জেগে গেছে। এ জন্য সবাই ভাবছিল কিছু হয়তো হবে না। আমি বারবার বলেছিলাম- ভ্যাকসিন নিলেও সাবধানে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে। এই স্বাস্থ্যবিধি মানাটা কিন্তু বন্ধ হয়েছে। আমরা হিসাব করে দেখেছি, যতগুলো বড় বড় বিয়ের অনুষ্ঠান। যারা এই বিয়েবাড়িতে গেছে, ফিরে এসে তাদের অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে চলে গেছেন। সেখান থেকে যারা এসেছেন তাদের বেশি করে ধরেছে। এই দাওয়াত, খাওয়া-টাওয়া, দোকানপাটে ঘোরাঘুরি অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল।’
Leave a reply