পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের দিন সহিংসতা ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায়। ভাঙচুর করা হয়েছে টালিউড তারকা ও তৃণমূল প্রার্থী সোহম চ্যাটার্জির গাড়ি।
টিএমসির অভিযোগ, ইভিএম জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটে কারচুপি করা হচ্ছে। এদিকে, হাইভোল্টেজ আসন নন্দীগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় জড়িয়েছে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীরা। ভাঙচুর চালানো হয়েছে অন্তত ১০ কেন্দ্রে।
পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ৩০ আসনে ভোট হলেও আলোচনার কেন্দ্রে নন্দীগ্রাম। তৃণমূল প্রধান ও রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিপরীতে লড়ছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, তাই রাত থেকেই এ আসনের কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছিলো বাড়তি নিরাপত্তা।
ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সহিংসতা ছড়ায় বিভিন্ন কেন্দ্রে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে অন্তত ১০টি কেন্দ্রে। হামলা হয় তৃণমূল প্রার্থী সোহম চ্যাটার্জির ওপর। ভোটারদের অভিযোগ, বুথে ঢুকে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বিজেপি নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, ইভিএম জালিয়াতির মাধ্যমে ভোট জালিয়াতি করা হচ্ছে।
এর আগে সকালেই ভোট দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তার দাবি, ভোটের মাধ্যমেই পতন ঘটবে মমতা ব্যানার্জির।
বলাবাহুল্য, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আসলে পরিবর্তন এবং ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অপেক্ষায় রয়েছে। মমতা ব্যনার্জির সরকারের সময় এতো বেকারত্ব ছিলো, যে নতুন প্রজন্ম পুরো ক্ষেপে রয়েছে বলা যায়। কৃষকদের জন্য তিনি কাজ করেননি। তাই খেটে খাওয়া মানুষও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে।
এদিকে দুপুরের পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বয়ালে আসেন মমতা ব্যানার্জি। এসময় তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বিজেপি কর্মীদের হামলা, সহিংসতা, ভোট জালিয়াতিসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ এসেছে। সেগুলো নির্বাচন কমিশন এবং গভর্নর বরাবর জমা দেয়ার কথা জানান তিনি।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, মমতাকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে শুরু করে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এতে উত্তেজিত হয়ে যায় তৃণমূল সমর্থকরাও। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরস্পরকে লক্ষ্য করে শুরু হয় এলোপাথাড়ি ইটবৃষ্টিও। আট দফার ভোটগ্রহণ শেষে আগামী ২ মে পশ্চিমবঙ্গের ফল প্রকাশিত হবে।
Leave a reply