অবশেষে প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় সম্পদ হতে পারেন সেটি নিয়ে কারও সংশয় ছিল না। তবে শঙ্কা ছিল কারণ জাতীয় দলের হয়ে নিজের প্রতিভার প্রতি মোটেই সুবিচার করতে পারছিলেন না শান্ত। পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সাদমানকে বসিয়ে সাইফকে তামিম ইকবালের সঙ্গী করে পাঠানো হয়। তিনে জায়গা ধরে রাখেন নাজমুল।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা চার ইনিংসের ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কায় ব্যর্থ হলে পরের টেস্টেই সাদমানের জন্য জায়গা ছাড়তে হতো তাতে কোনো সংশয় ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে তার ইনিংসগুলো ছিল ২৫, ০, ৪ আর ১১ রানের। ৬ টেস্ট শেষে গড় মাত্র ২১.৯০। এমন গড়ও হতো না যদি দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তার ৭১ রানের ইনিংসটি না থাকত। আজ পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করে সব সংশয় আপাতত দূরে সরিয়ে দিলেন শান্ত।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাইফ ০ রানে আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে তামিমের সঙ্গে ১৪৪ রানের জুট গড়েন নাজমুল। ২০০৯ সালের পর দেশের বাইরে দ্বিতীয় উইকেটে এটিই শতরানের জুটি। অন্য প্রান্তে তামিম যখন খেলছিলেন গতিশীল ক্রিকেট, তখন শান্ত ছিলেন শান্ত। ধীর স্থির খেলে ১২০ বলে তুলে নেন ফিফটি। তামিম ৯০ রানে ফিরে গেলেও শান্ত ঠিকই তুলে নেন সেঞ্চুরি।ইনিংসের ৭৪তম ওভারে ২৩৫ বল খেলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
পুরো ইনিংস জুড়ে নির্ভুল সব শট খেলেছেন। রক্ষণ করেছেন দারুণ দক্ষতার সাথে। এমন শান্তকেই তো খুঁজছিল বাংলাদেশ!
Leave a reply