কাপড়ের দোকানে ঝগড়াঝাটির একটি ঘটনা নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও বেলজিয়ামের মধ্যে। সিউলে একটি কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মীকে মারধর করেন বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুঁজছে পুলিশ। তদন্তে সহায়তার জন্য বেলজিয়াম দূতাবাসকে অনুরোধ জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সিউল-ব্রাসেলস কূটনৈতিক জটিলতার সূত্রপাত এই ঘটনা থেকেই। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দোকানের বিক্রয়কর্মীকে চড় মেরে বসেন বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী।
৯ এপ্রিল সিউলের এই দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকটি কাপড় ট্রায়াল দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। টাকা না দিয়েই কাপড় নিয়ে গেছেন- এমন অভিযোগ তুলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন দোকান কর্মচারীরা। ক্ষুব্ধ হয়ে গায়ে হাত তুলে বসেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী।
তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ গিয়ে ঝামেলা মিটিয়েও ফেলে। কিন্তু, চলতি সপ্তাহে সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার ভিডিওফুটেজ প্রকাশের পর নতুন মাত্রা পায় বিষয়টি। পরিচয় যা-ই হোক, বিক্রয়কর্মীকে চড় দেয়ার দাবিতে সোচ্চার কোরীয়রা।
তারা বলছেন, আইন সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত। কেউ যখন অপরাধ করবে, তাকে সেই অনুযায়ি শাস্তি পেতে হবে। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বা উচ্চপদে থাকলেই তাদের জন্য আলাদা বিচার হবে, এমনটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
কেউ কেউ স্ত্রীর কৃতকর্মের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ক্ষমা চাইতে বলছেন। এমন একজনের কথা, কূটনীতিকরা আইনি সুবিধা পাবেন, ঠিক আছে। কিন্তু অপরাধী তো তার স্ত্রী। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতের উচিত এই বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।
অভিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীকে এখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুঁজছে পুলিশ। তলব করার পরও অবশ্য, হাজির হননি ওই নারী। দূতাবাস থেকে জানানো হয়, অসুস্থ তিনি। তবে, বিষয়টিতে কোনোরকম ছাড় দিতে রাজি নয় সিউল। কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বেলজিয়াম দূতাবাসকে নোটিশ পাঠিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Leave a reply