চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর বাংলাদেশ দলে আর কাজ করতে আগ্রহী নন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। এজন্য সরাসরি গণমাধ্যমকে দায়ী করেছেন তিনি। বলেছেন- দেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের গণমাধ্যম। তিনি বলছেন মাঠে ব্যাটসম্যানদের ব্যথর্তার সাথে, উইকেট আর হাথুরুসিংহে জুজু’র প্রভাব ছিলো দলে। জাতীয় দলের অনুশীলন শেষে, আজ আবেগাপ্লুত হয়ে নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, আমি তো বাংলাদেশের জন্য কিছু করছি না। তাহলে আমি এখানে কেন আছি? আমি তো কোনো স্বার্থের জন্য আসি নাই। আমার আমি ব্যক্তিগত জীবনে ভালোই আছি, দলে আর থাকতে চাই না।
সুজন যেন মনে করিয়ে দিলেন, কচুপাতায় পানি আর কোচের চাকরি যেন সমার্থক। ত্রিদেশীয় সিরিজে উড়ন্ত সুচনার পর, যখন গুঞ্জন ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকছেন কিনা। মাস না ঘুরতেই সেই সুজনের কাছে ছুটে গেলো মার্চে লংকার মাঠে ‘নিধাস’ কাপে থাকবেন কিনা।
সুজন বললেন, বাংলাদেশ টিমের সাথেই আর কাজ করতে ইচ্ছে করছে না। আমার নোংরা লাগছে জায়গাটা।
কী সেই নোংরা পরিবেশ সুজন ব্যাখ্যা দিয়েছেন তারও। তার তীর ছুটে গেছে মিডিয়ার দিকে। বলেছেন, মিডিয়া অনেক ফিসি হয়ে যাচ্ছে। আগেও মিডিয়া হ্যান্ডেল করেছি এমনটা দেখিনি।
ঢাকা টেস্ট চলাকালীন সৈকতের আবাহনীর হয়ে খেলা, তার কোচ হওয়া নিয়ে গণমাধ্যমের সমালোচনারও একহাত নিলেন তিনি। তদন্ত করলে নাকি বের হতে পারে বড় সাপ।
সুজন বললেন, ব্যর্থতার দায় ব্যাটসম্যানদের, উইকেটের নয়। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। মোসাদ্দেক আর আবাহনী যদি বাংলাদেশ দলের ম্যাচ হারার কারণ হয়ে যায় তাহলে আমার কিছু বলার নেই। ৫৩ বলে ৯ রান করেছে সেটা আমিও দেখেছি।
হাথুরুকে নিয়ে চিন্তা ছিল, সেটার ফল নেতিবাচক বলেই মনে করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে হারার আগে হারতে চান না কোচ সুজন। সবসময়ের এই ফাইটার আরও একবার স্বপ্নবাজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply