গ্যালারিতে বসে অলিম্পিকের খেলা দেখা যাবে কিনা সে বিষয়ে চলতি মাসেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার কথা জানিয়েছেন টোকিও অলিম্পিকের শীর্ষকর্তা। এদিকে ইউরোপ-আমেরিকার পর করোনা পরিস্থিতি প্রকট হচ্ছে এশিয়ায়। খোদ জাপানের তিনটি শহরে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও বেহাল অবস্থা। এসবের মাঝে এশিয়াতেই অলিম্পিকের মতো বৈশ্বিক ক্রীড়াযজ্ঞের আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। জাপানের জনগণ অলিম্পিক আয়োজনে যতটা অনাগ্রহী, ঠিক ততটাই আগ্রহী দেশটির সরকার।
ক্ষণে ক্ষণেই চরিত্র পাল্টে নতুন নতুন রুপ নিচ্ছে করোনা ভাইরাস। শুরুর সময়টাতে তার বিস্তারের ক্ষেত্র ছিলো ইউরোপ জুড়ে। ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সের মত উন্নত দেশগুলোতে করোনা কেড়ে নেয় লক্ষাধিক প্রাণ। সেইসাথে মরণব্যাধিটি ছড়াতে শুরু করে বিশ্বের অন্য প্রান্তে।
এরপর করোনার প্রকোপ ছিল উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ জুড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সেই করোনার হটস্পট এশিয়া। গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ তিন লাখের উপরে। এমন পরিস্থিতি আর সমালোচনার মাঝেই আইপিএলের মত বৈশ্বিক আসর চালিয়ে যাচ্ছে ভারত।
ভারতের মত একই পথে যেনো হাটঁছে এশিয়ার আরেক পাওয়ার হাউজ জাপান। এক বছর পিছিয়ে জুলাই মাসে টোকিওতে বসবে বিগেস্ট শো অন আর্থ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ২৯তম আসর। করোনার কারণে শতভাগ নিশ্চিত না হলেও অলিম্পিক আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে আয়োজকরা। তারই সূত্র ধরে এ মাসেই জানিয়ে দেওয়া হবে স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলোতে দর্শকের উপস্থিতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি।
জাপানের সংক্রমণ আর মৃত্যু হার প্রায় বাংলাদেশের কাছাকাছি। টোকিও অলিম্পিকের নতুন তারিখের বাকি আর ৩ মাস। অনিশ্চিয়তা প্রতিদিন বাড়লেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ক্রীড়াপ্রেমীদের অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও কিছু দিন।
Leave a reply