মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে তার শত্রুরা যা ভাবতেন!

|

হজরত মুহাম্মদ (সা.) একমাত্র একক ব্যক্তি যার সারা পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে বেশি জীবনীগ্রন্থ লেখা হয়েছে। এই তালিকায় তার নাম সবার ওপরেই। সমীক্ষা বলছে গত দেড় হাজার বছরে দেশ–বর্ণ–ধর্মনির্বিশেষে অজস্র সাহিত্যিক, সমাজনেতা, শিক্ষাবিদ, সমরবিদ, গবেষক, রাষ্ট্রনায়ক, এমনকি তার বিরুদ্ধবাদীরাও তাকে নিয়ে বিপুল প্রশস্তি বর্ণনা করেছেন।

অনেক ইসলামি বিশ্লেষকের বর্ণনায় উঠে এসেছে মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে তার শত্রুদের ভাবনা। তার প্রচারিত ধর্ম গ্রহণ না করেও তাকে মহামানবের স্বীকৃতি দিয়েছেন অনেকে। বিশ্বের ঘোর দুর্দিনে তার মতো নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

একটিই মানুষ, একটিই তার জীবন, একটিই কাহিনি—সেই মক্কার কুরাইশ পরিবারে জন্ম, আল-আমিন উপাধি, সিরিয়ায় বাণিজ্য, হেরা পর্বতের ধ্যানমগ্নতা, মক্কার দাওয়াত, তায়েফের ক্ষত, মদিনায় হিজরত, বদরের যুদ্ধ, বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে ঊর্ধ্বগমন, আবার মক্কায় ফেরা, বিদায় হজ।

এই একই কথাগুলো বহুমুখে বহুজনে বহুশতাব্দী ধরে বাতাসে বাতাসে ফিরছে, তবু যেন অফুরান, যেন কিছু লেখা হলো আর অলিখিত রয়ে গেল ঢের, কিছু বলা হলো আর অনেক কিছুই হয়নি বলা।

মহানবী (সা.)–কে জানার প্রথম উৎস হলো কোরআন। কারণ তিনি তার জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপই কোরআনের দেখানো পথে চলেছেন। যেমন তার সম্পর্কে তার জীবনসঙ্গী আয়েশা (রা.)–এর কাছে জানতে চাওয়ার পর তিনি বলেছেন, কোরআনই তার চরিত্র। (ইমাম বুখারি, আল আদাব আল মুফরাদ, হাদিস: ৩০৮)।

কোরআনজুড়ে প্রসঙ্গক্রমে নবীজীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতির ছায়া পড়েছে। মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে তার কথোপকথন, যুদ্ধের নানান অনুষঙ্গ, অথবা নবীর স্ত্রীর নির্দোষিতা ইত্যাদি আলোচিত হয়েছে তখনকার ঘটনার আলোকে। সূত্র: ইন্টারনেট।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply