পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার চাটমোহর উপজেলার দীঘলগ্রামে বিরোধপূর্ণ জমিতে শনিবার সকালে গাছের ডাল ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত সুজন হোসেন (৩২) নামের এক যুবক রাতেই মারা গেছে।
নিহত সুজন উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের দীঘলগ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ মহিলাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা দীঘলগ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল নবীর উদ্দিন ও তার ভাই দবির উদ্দিনের সাথে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে নবীর উদ্দিনের ছেলে এরশাদের স্ত্রী বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছের ডাল ভাঙ্গে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে এরশাদের ছোট ভাই সুজনসহ অন্যরা এগিয়ে যায়। এ সময় দবির উদ্দিন গং লাঠিসোটা নিয়ে সুজনসহ অন্যদের মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে সুজনের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এলাকার লোকজন দুই পক্ষকে নিবৃত করে আহত সুজন, তার পিতা নবীর উদ্দিন (৭০) ও বোন সোহাগী খাতুনকে (১৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সুজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে শনিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা নিয়ে যাবার পথে রাত ১১টার দিকে সুজন মারা যান।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাই এরশাদ আলী বাদী হয়ে দবির উদ্দিনসহ ৭ জনকে আসামি করে চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ দবির উদ্দিনের স্ত্রী সামেলা খাতুন (৫০), রিপন হোসেনের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) ও মোসলেম উদ্দিনকে (৬০) গ্রেফতার করে।
চাটমোহর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। নারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a reply