যার গেছে কেবল সেই বোঝে স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। করোনাভাইরাসে একে একে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে এখন কষ্টের সাগরে ভাসছে অনেকে। এরকমই একটি পরিবার নাজমুল হোসেনের।
হতভাগ্য নাজমুল হোসেন মাত্র ২১ দিনের মধ্যে হারিয়েছেন স্ত্রী, মা এবং বাবাকে। গত ১৬ এপ্রিল সন্তান জন্ম দেয়ার ২ ঘণ্টা পর মারা যান স্ত্রী রিফাত সুলতানা। তারপর ৩ মে মারা যান নাজমুলের মা এবং এর ৩ দিন পর ৬ মে চলে যান বাবা।
নাজমুল-রিফাতের তিনবছরের জমজ ছেলে রুদ্র আর ধ্রুব। ছোট্ট এই দুই শিশু জেনে গেছে, মাম্মাম এখন আকাশের তারা। কিন্তু, দাদাভাই আর দাদু কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে ওদের?
করোনাভাইরাসে নিঃস্ব এরকম আরেকটি পরিবার রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব) ডাক্তার মুকারিম মো. মোহসীনের। এই মুক্তিযোদ্ধার জীবনের শেষ দিনটাও গেলো যুদ্ধ করতে করতে। গত বছর মের শুরুতে তিনি আক্রান্ত হন করোনায়। আক্রান্তের মাত্র ৮ দিনের মাথায় মারা যান তিনি। তিনদিন পর মেয়ে শায়রা আর তার কয়েক দিনের মধ্যে মারা যান তার শাশুড়ি।
মাত্র ১৫ দিনে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া পরিবারটি স্বাভাবিক হতে যুদ্ধ করছে একবছর ধরে। মুকারিমের সন্তানরাও চিকিৎসক। দ্বিতীয় দফায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি তার ছেলে ডা. রাফায়েল মুরসালিন।
ইতোমধ্যে মারা যাওয়া প্রায় ১২ হাজার মানুষের অধিকাংশ পরিবারেরই গল্প হয়তো এমন করুণ। জীবনের মূল্য কি কোনো ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা যায়? এই পরিবারগুলোর আহ্বান, অন্তত তাদের কষ্ট অনুভব করে হলেও সবাই যেন মেনে চলেন সতর্কতা।
Leave a reply