গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহন এবং ঘরমুখো মানুষের চাপ। করোনার ভয় আর পথের ভোগান্তিকে উপেক্ষা করে যে যেভাবে পারছেন, ছুটছেন গ্রামের দিকে।
গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। এই রাস্তায় থেমে থেমে ধীরগতিতে চলছে গাড়ি। ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে মানুষের।
শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর এলাকায় সকাল থেকে কারখানা শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদযাত্রায় বাড়ি ফিরতে মহাসড়কে এসে দাঁড়িয়েছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহন এবং ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি। অনেকেই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির অপেক্ষা করছেন।
ঘরমুখো যাত্রীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে যেতে পারছে না গন্তব্যে। লেগে যাচ্ছে কয়েকগুণ বেশি সময়। তাছাড়া দূরপাল্লার বাস না চলায় কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে তাদের। পিকাপ ভ্যান, ট্রাক ইত্যাদিতে করে গাদাগাদি করে বাড়ি যাওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলেও মনে করেন যাত্রীরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান বলছেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পে কাজ চলমান থাকায় বৃষ্টির পানি জমে পুরো রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। তাছাড়া রাস্তায় তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অনেক গর্ত। যার ফলে স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না গাড়িগুলো।
আজ (১২ মে) দুপুরের পর অন্যান্য পোশাক কারখানা একযোগে ছুটি হলে গাড়ির চাপ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে যানজট নিরসন, অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা রোধ ও স্বাস্থ্যবিধি তদারকিতে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে পুলিশ।
Leave a reply