স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:
যমুনা টেলিভিশনে ‘মহামারীতে কর্মহীনদের বর্ণহীন ঈদ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর রংপুরের গঙ্গাচড়ার পরিবার গুলোকে সহযোগিতা করা শুরু হয়েছে।
শনিবার বিকেলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ‘৫ টাকার আহার’ নামের একটি সংগঠনের শিক্ষার্থীরা যমুনা টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনের দুস্থ আইসক্রিম বিক্রেতা রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুপিয়া বেগম ও বিধবা রোশনারার হাতে তিনদিনের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন।
এর আগে দুপুরে রংপুর পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের পক্ষে সহকারি পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম গঙ্গাচড়া থানার ওসি সুশান্ত কুমারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। খাদ্য সামগ্রী পেয়ে রুপিয়া এবং বিধবা রোশনারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
গৃহবধূ রুপিয়া বলেন, ঈদের আগের দিন বৃষ্টি থাকায় আমার স্বামী রফিকুল ইসলাম আইসক্রিম বিক্রি করতে পারেনি। ফলে সে কোনো বাজারসদাই করতে পারেনি। বাজারসদাই না থাকায় ঈদের দিন কোনো রান্নাও হয়নি। এ বিষয়টি যমুনা টেলিভিশনে প্রচারের পর পুলিশসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি আমাকে সহযোগিতা করছে।
বিধবা রোশনারা জানান, পুলিশ এবং কিছু ছাত্র খাবার দিয়ে গেছে সেটি আমার অন্তত দশ দিন চলবে। আল্লাহ তাদের ভালো করুক।
‘৫ টাকার আহার’ সংগঠনের উদ্যোক্তা তানভির ইসলাম জানান, যমুনা টেলিভিশনের সংবাদ প্রকাশের পর আমরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের জমানো টাকা থেকে তাদের জন্য খাবার নিয়ে এসে দিয়ে গেলাম। আমরা পর্যায়ক্রমে আরো সহযোগিতা করবো।
রংপুর পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, এখনো ঈদের দিনে মানুষ না খেয়ে থাকে তাদের চুলা জ্বলে না এটি টেলিভিশনে দেখার পরপরই আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে তাদেরকে আমরা সহযোগিতা করেছি। এছাড়াও অসহায় ওই পরিবারগুলোর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা সেগুলো নিশ্চিত করারও চেষ্টা করেছি। আমাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
শনিবার যমুনা টেলিভিশনে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের প্রায় অর্ধকোটি মানুষের বর্ণহীন ঈদ নিয়ে একটি সংবাদ প্রচার হয়।
Leave a reply