করোনায় বিপর্যস্ত ভারতে শহরের চেয়েও করুণ চিত্র গ্রামাঞ্চলগুলোতে। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই, ঘাটতি আছে প্রশাসনের নজরদারিতেও। এরমধ্যে পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি হয়েছে উত্তর প্রদেশে। রাজ্যটির শুধু একটি গ্রামেই ১ মাসে ভাইরাসের প্রকোপে প্রাণ গেছে শতাধিক ব্যক্তির। অক্সিজেন, ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জামের সংকটে, করোনা থেকে বাঁচতে অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন নানা কুসংস্কারের।
ভয় আর আতঙ্কের গ্রামে পরিণত হয়েছে উত্তর প্রদেশের লিলাওলি। গেল এক মাসে এখানে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় মৃত্যুর কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করছে বহু সাধারণ মানুষ।
উত্তর প্রদেশের লিলাওলি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান শামিম খান বলেন, যাদের করোনা হয়েছিলো তারা কেউই সেটি বুঝতে পারেনি। কারণ এখানে করোনা পরীক্ষার সুযোগ নেই। ফলে একদিকে যেমন রোগ ছড়িয়েছে, অন্যদিকে আক্রান্তরা বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে।
জানা যায়, যাদের জ্বর-কাশি হয়েছিলো, ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই তাদের মৃত্যু হয়। সময়মতো কাউকেই প্রাথমিক চিকিৎসাও দেয়া যায়নি। অক্সিজেন তো দূরে থাক।
করোনার বিপর্যস্ত ভারতের শহরাঞ্চলে যতটুকু চিকিৎসার সুযোগ আছে, গ্রামাঞ্চলে তাও নেই। হাসপাতাল সংকটের পাশাপাশি নেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত নজরদারি। ফলে নেই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের বালাই। বেড়েই চলেছে আক্রান্তের হার।
এ পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী নিচ্ছে কুসংস্কারের আশ্রয়। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তর প্রদেশের আরেক গ্রাম মেওলায় দেখা যায়, নিম গাছের নিচে শুইয়ে রাখা হয়েছে করোনা রোগীকে। সরকারি হাসপাতালে বেড নেই। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার মতো অর্থ নেই। তাই গ্রামের সাধারণ মানুষ এই গাছের নিচে রোগীদের রেখে গেছে। কারণ নিমের বাতাস তাদের অক্সিজেন পূরণ করতে সাহায্য করবে।
এরইমধ্যে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্যকর্মীরা; তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তা একেবারেই সামান্য।
এনএনআর/
Leave a reply