পাবনা প্রতিনিধি:
পরিবারের সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছিলেন চাচা-ভাতিজা। কিন্তু বেপরোয়া বাসের চাপায় আর ফেরা হলো না তাদের। আবার তাদের বাড়িতে ফিরতে হলো লাশ হয়ে। ঈদের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই এখন তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
বুধবার (১৯ মে) বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাদের।নিহতরা হলেন, চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের সমাজ দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আলহাজ্জ মোজাহারুল ইসলামের ছেলে বিজিবি সদস্য সেলিম রেজা (২৮) ও তার আপন ভাতিজা একই গ্রামের আবু সাইদের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫)।
নিহত সেলিম রেজার শ্বশুর আহাম্মদ আলী জানান, নিহত সেলিম রেজা বিজিবিতে এবং তার ভাতিজা কামরুল ইসলাম বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। নিহত সেলিমের দু’টি ছেলে সন্তান আছে আর কামরুল ইসলামের কোনো সন্তান নেই। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে গত ১২ মে মোটরসাইকেলযোগে তারা একসাথেই গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। ছুটি শেষে বুধবার (১৯ মে) বিকেলে ঢাকায় কর্মস্থলের উদ্দেশে চাচা-ভাতিজা মোটরসাইকেলযোগে রওনা হন। পথিমধ্যে টাঙ্গাইলের করোটিয়া মোড় নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই বিজিবি সদস্য সেলিম রেজার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় কামরুল ইসলামকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে চাচা-ভাতিজার মরদেহ চাটমোহরের সমাজ গ্রামে এসে পৌঁছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরিবারের সদস্যদের মাঝে চলছে শোকের মাতম। গ্রামের মানুষও স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। বাদ যোহর তাদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
এদিকে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একটি মাইক্রোবাস খালে পড়ে নারী ও শিশুসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইউএইচ/
Leave a reply