দীর্ঘ ১৯ বছর পর সক্রিয় হয়ে উঠেছে নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরি। মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পার্বত্য অঞ্চলটিতে ছড়িয়ে পড়েছে লাভা। রাতের আকাশ রক্তিম লাভার উদগীরণে। আতঙ্কিত মানুষ দিশেহারা হয়ে পালাচ্ছে জনপদ থেকে। শিগগিরই ২০ লাখ বাসিন্দার গোমা শহরে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করবে সরকার- এমন ঘোষণা দিয়েছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এদিকে, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউরোপ সফর বাতিল করে কঙ্গো ফিরছেন প্রেসিডেন্ট।
দেশটির ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা মে মাসের ১০ তারিখই সর্তক করেছিলো, অস্বাভাবিক কম্পন ধরা পড়ছে রিখটার স্কেলে। কিন্তু আমলে নেয়নি সরকার। আগ্নেয়গিরিটির চারপাশের লোকালয়ে জারি করেনি সতর্কবার্তা। ফলে দিশেহারা মানুষ ছুটছে অজানা আশ্রয়ের সন্ধানে।
পার্বত্য লোকালয়টি থেকে সবাই ছুটছেন নিকটবর্তী গোমা শহরে। কিন্তু, সেখানেও ধেয়ে আসছে লাভা। অবিলম্বে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা শুরুর ঘোষণা সরকারের। ততক্ষণ খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটাতে হচ্ছে শিশু থেকে বুড়োদের।
সর্বশেষ ২০০২ সালে আগ্নেয়গিরিটি বিস্ফোরিত হয়। সেসময় কমপক্ষে আড়াইশো মানুষ প্রাণ হারান; গৃহহীন হয় এক লাখ ২০ হাজার বাসিন্দা।
তারও আগে ১৯৭৭ সালে জেগে উঠেছিল ‘নাইরাগঙ্গো’। তখন মারা যান ৬ শতাধিক মানুষ।
Leave a reply