ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঢুকছে জোয়ারের পানি

|

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকছে।

স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ও কুকরী মুকরী ইউনিয়নে। এর মধ্যে ঢালচর পুরো ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। কুকরী মুকরীর বেশকয়েকটি গ্রাম প্লাবিত। এছাড়া মনপুরার নিম্নাঞ্চলে ঢুকছে জোয়ারের পানি। পানিবন্দী উপকূলের মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোয় সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। দমকা হাওয়া বইছে। বৃদ্ধি পেয়েছে নদ-নদীর পানি। সবখানেই স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বরগুনায় ডুবে গেছে নদীর তীর ও নিম্নাঞ্চল। ব্যাহত হচ্ছে ফেরি পারাপার। ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ। ঝুঁকিতে রয়েছে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জোয়ারের চাপ অব্যাহত থাকলে বাঁধ উপচে জনপদ প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস আগামীকাল (২৬ মে) দুপুর নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করবে। সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহকাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা যায়, পূর্ণিমার প্রভাবে উক্ত জেলাসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply