ভূমধ্যসাগরে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজের মহড়া চালালো ন্যাটো। এ মহড়ায় প্রদর্শন করা হয় পঞ্চম প্রজন্মের ব্রিটিশ বিমানবাহী রণতরী। এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ নামের জাহাজটি একসাথে ১৮টি যুদ্ধ বিমান বহনে সক্ষম। ন্যাটো বলছে, কারও সাথে শীতল যুদ্ধ নয় বরং জোটের সদস্য দেশগুলোকে শত্রুপক্ষের হামলা থেকে রক্ষায় তাদের এই বার্তা।
আঞ্চলিক আধিপত্যসহ নানা কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই রাশিয়া এবং চীনের সাথে কথার লড়াই চলছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর। হয়তো তারই জবাব ভূমধ্যসাগরে এই মহড়া।
এ মহড়ায় যোগ দেয় পঞ্চম প্রজন্মের অত্যাধুনিক ব্রিটিশ বিমানবাহী রণতরী। ৬৫ হাজার মেট্রিক টন ওজনের মার্কিন নির্মাণাধীন যুদ্ধজাহাজটি একসাথে অন্তত ৮টি এফ-35বিএস এবং ১০টি এফ-35এস যুদ্ধ বিমান বহন করতে সক্ষম। সেই সাথে জাহাজটিতে অবস্থান করতে পারে ১৭শ’ সেনা।
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর ওপর শত্রুপক্ষের যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় সব সময় প্রস্তুত আছি আমরা। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ন্যাটো কতোটা ঐক্যবদ্ধ সেই বার্তাটাই দিয়েছি বিশ্ববাসীকে।
জোটের রাষ্ট্রের ওপর কেউ আক্রমণ করলে তার কড়া জবাব দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন ন্যাটো মহাসচিব। আর কোনো প্রচ্ছন্নভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং এর একক আধিপত্য মেনে নেয়া হবে না।
যুক্তরাজ্যের নৌ কমান্ডার কমোডোর স্টিভ মোরহাউস বলেছেন, আমরা বিশ্বকে দেখাতে সক্ষম হয়েছি ন্যাটোর নৌবহর কতটা সমৃদ্ধ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে এটি পরিচালনা করলেও আঞ্চলিক সহযোগী হিসেবে থাকবে সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আসিয়ান জোটের অন্যান্য দেশগুলো। এছাড়া অত্যাধুনিক এই জাহাজটি শুধু সামরিক মহড়াতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না নিশ্চিত করবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা।
এইচএমএস কুইন এলিজাবেথ নামের অত্যাধুনিক জাহাজটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ৪শ’ কোটি ডলারের বেশি। যা ন্যাটো বহরে আলাদা শক্তি যোগ করেছে বলে মনে করছে ব্রিটেন।
Leave a reply