বার্সেলোনার হয়ে তিনি যতটা অপ্রতিরোধ্য, আকাশি-নীল জার্সিতে যেন ঠিক ততটাই মলিন। আর্জেন্টিনাকে ৪টি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে তুললেও শিরোপার স্পর্শ তার এখনো রয়ে গেছে অধরা। ২০১৫ ও ১৬ সালে কোপা আমেরিকার পরপর দুই আসরের শিরোপা হাতছাড়া হবার আক্ষেপ এখনো পোড়ায় এলএমটেনকে।
এবার সুযোগ ছিল ঘরের মাঠে ট্রফি উচিঁয়ে ধরার। কিন্তু সে আশায়ও গুড়েবালি। করোনার কারণে কোপা আমেরিকার আয়োজক হওয়া হচ্ছে না আর্জেন্টিনার। তারপরও এই আসরেই দেশের হয়ে নিজের প্রথম শিরোপা জিততে চান তিনি।
মেসি বলেছেন, জাতীয় দলের হয়ে কোন টুর্নামেন্টে খেলতে পারা বিশেষ কিছু। সেটা যে আসরই হোক না কেন। সিনিয়র কিংবা জুনিয়র, দলের সব ফুটবলারের লক্ষ্য একটাই, শিরোপা জেতা। স্কালোনির অধীনে দারুণ এক টিম আমাদের। দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে মুখিয়ে আছি আমি।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতে অনুশীলনে ব্যস্ত মেসি, ডি মারিয়ারা। অন্যদিকে করোনার ভয়াবহতায় কঠিন সময় পার করছে আর্জেন্টিনা। জরুরী অবস্থা জারি করেও বিপর্যয় এড়ানো যাচ্ছে না। দেশের এমন ক্রান্তিকালে মন ভালো নেই ফুটবল বিশ্বের সেরা এই তারকার।
এই পরিস্থিতি নিয়ে মেসি বলেন, করোনায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দেশ। খুব খারাপ সময় পার করছি আমরা। প্রতিদিন সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তারপরও কোন রকমে জীবন চালিয়ে নিচ্ছে মানুষ। যদিও স্বাভাবিক জীবন যাপন এখন প্রায় অসম্ভব। তারপরও আমরা নিজেদের তৈরি করছি। বিশেষ করে এই অদ্ভুত সময়ে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি খুবই খুশি।
সবশেষ ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছিলো আর্জেন্টিনা। শতবর্ষী এই টুর্নামেন্টের এবারের আসরটিই শেষ আসর হতে পারে লিওনেল মেসির।
Leave a reply