টিকটক হৃদয়ের আরও কয়েকজন সহযোগী আটক

|

টিকটকের আড়ালে তরুণী ও নারী পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা হৃদয় বাবুর আরও কয়েকজন সহযোগীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আটককৃত সবাই বাংলাদেশি। তাদের কয়েকজনের বিস্তারিত পরিচয় এসেছে যমুনা টেলিভিশনের হাতে। আটকের পর বাসায় তল্লাশি করে চক্রের দেশি-বিদেশি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করা হয়েছে।

ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর হৃদয় বাবু, সাগর ও অন্য সদস্যরা মুখ খুলতে শুরু করেছে। তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও মধ্যপ্রাচ্য’সহ বিভিন্ন দেশের এজেন্টদের নাম। যারা সবাই আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য। বেঙ্গালুরু পুলিশের দেয়া তথ্যে দেশের কয়েকটি জেলায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটকের পাশাপাশি হৃদয় বাবুর ঘনিষ্ঠ কয়েক সহযোগীর পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে।

এদের মধ্যে অন্যতম হোতা আশরাফুল মন্ডল ওরফে রাফি। ভারতে রাফি নামে পরিচিত। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার পশ্চিম পাড়ার এ যুবকের বাবার নাম আইন উদ্দিন মন্ডল। বাংলাদেশ থেকে পাচার করা তরুণী ও নারীদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার আগে জোর করে কোকেন’সহ বিভিন্ন মাদক সেবনে বাধ্য করতো রাফি। এমন ভিডিও হাতেও পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রাফির এসব কাজে ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলো আব্দুর রহমান শেখ। ভারতে যাকে চেনে আরমান শেখ নামে। বেনাপোল সদরের পোড়াবাড়ি গ্রামের জামাল শেখের ছেলে সে। চাকরির প্রলোভনে পাচার করা তরুণীদের নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে অনৈতিক কাজে বাধ্য করতো আরমান। এ সময় ছবি আর ভিডিও ধারণ করে নিয়মিত পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতো হৃদয় বাবু ও রাফির অন্যতম এ সহযোগী।

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই নারী’সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। গ্রেফতারের সময় গুলিবিদ্ধ হয় টিকটক হৃদয় বাবু ও সাগর। তাদের’সহ ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে ফিরিয়ে আনতে এরইমধ্যে আনুষ্ঠানিক আবেদন পাঠিয়েছে পুলিশ।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply