পাঁচ মাসেও মানব দেহে ট্রায়ালের অনুমোদন পায়নি গ্লোব বায়োটেক উদ্ভাবিত বঙ্গভ্যাক্স। কোন কারণ না জানালেও নির্বিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বিএমআরসি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকটের এই সময়ে সহায়তা দরকার ছিল। তিন ধাপের ট্রায়ালে সফল হলে নতুন তালিকায় নাম উঠতো বাংলাদেশের।
প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের আবিষ্কারক বায়োএনটেক। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি দুবছর আগেও ছিলো অপরিচিত। করোনার ভ্যাকসিন গবেষণায় বায়োএনটেককে ৩৭৫ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয় জার্মান সরকার। প্রতিষ্ঠাতা ও মুসলিম গবেষক উগার শাহিনের নাম এখন বিশ্বজুড়ে। ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন এখন বিশ্ব কূটনীতির অন্যতম বড় শক্তি।
একই প্রযুক্তির মেসেঞ্জার রাইবোনিউক্লিক এসিড, এমআরএনএ ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স। দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক আবিষ্কারের ঘোষণা দেয় গেলো বছর জুন মাসে। বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদন। ঠাঁই হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রক্রিয়াধীন ভ্যাকসিন তালিকাতেও। মানব দেহে পরীক্ষার অনুমতির জন্য গেলো জানুয়ারিতে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্লোব বায়োটেক সিনিয়র ম্যানেজার (কোয়ালিটি এন্ড রেগুলেটরি অপারেশন্স) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান,
সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। যেহেতু এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি তাই আমরা ধরে নিচ্ছি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে ইতিবাচক।
নিয়ম অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে ফলাফল জানানোর কথা বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিলের। কিন্তু পাঁচ মাসেও অনুমোদন দেয়া না দেয়ার বিষয়ে নীরব বিএমআরসি।
এ বিষয়ে বিএমআরসি চেয়ারম্যান ডা. মোদাচ্ছের আলী বলেন, যেহেতু বিএমআরসি স্বায়ত্তশাসিত না সেহতু এই বিষয়ে আমরা বলতে পারিনা, এটা বলবে সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে অবশ্য বলেছিলেন, “সরকারের হলুদ সংকেতের অপেক্ষায় আছে বিএমআরসি, শীঘ্রই অনুমোদন দেয়া হবে।”
মানব দেহে পরীক্ষায় সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান সিআরও এর সাথে যুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড সিতেশচন্দ্র বাছার বলেন, অনুমতি পেলে সফল হবে বঙ্গভ্যাক্স। প্রাথমিক গবেষণা প্রতিবেদনের তার প্রমাণ রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ বলছেন, দেশে ভ্যাকসিন আবিষ্কার সফল নতুন উচ্চতায় উঠতো বাংলাদেশ। সংকটের এই সময়ে হয়রানী নয় নানাভাবে সহায়তা দরকার ছিলো উদ্ভাবকদের।
এদিকে, হার্ড ইমিউনিটির জন্য অন্তত সাড়ে বারো কোটি মানুষের ২৫ কোটি ডোজ ভ্যকসিন দরকার। এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে এক কোটির কিছু বেশি।
Leave a reply