প্রথমে সুন্দর ছবি সম্বলিত ফেসবুক আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট; এরপর বন্ধুত্ব, শুরু হয় কথাবার্তা। বন্ধুত্ব ছাপিয়ে প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে আদান-প্রদান করা হয় অশ্লীল ছবি। সবশেষে ব্ল্যাকমেইল। পুরুষ হয়েও নারী সেজে সবই করতো প্রতারক এরশাদ মিয়া। সম্প্রতি ডিবি’র জালে ধরা পড়েছে এই প্রতারক।
কথোপকথন নয় যেন মায়াজাল, মোর্শেদা রহমান রিমা ওরফে ড্রিম গার্ল নামের ফেসবুক আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পান একটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা।
সুন্দর ছবি পাঠিয়ে নজর কাড়েন। এরপর বন্ধুত্ব। টুকটাক কথা বার্তা থেকে গভীর সম্পর্ক। আদান প্রদান হয় অশ্লীল নগ্ন ছবি। নানা সমস্যার কথা বলে দফায় দফায় নেয় টাকা।
কিন্তু যে মেয়েটির সাথে ফেসবুকে এত গভীর সম্পর্ক তিনি আসলে একজন পুরুষ। টেকনোলজির কারসাজিতে কণ্ঠ পরিবর্তন করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে এই এরশাদ মিয়া। ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা নগ্ন ছবি নিজের বলে ভুক্তভোগীদের কাছে পাঠাতো সে।
এরপর, নগ্ন ছবি সাথে অশ্লীল কথাবার্তা রেকর্ড করে শুরু হয় ব্লাকমেইল। দফায় দফায় টাকা নিলেও শেষমেশ দাবি করা হয় মোটা অংকের অর্থ। না দিলে অশ্লীল ছবি আর কথাবার্তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবার হুমকি দেয়। সম্প্রতি এই প্রতারককে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, কণ্ঠ পরিবর্তন করে অন্তত ১০ জনের বেশি মানুষকে ঠকিয়েছে সে। সুন্দরী মেয়ের ফেসবুক আইডি থেকে রিকুয়েস্ট পেলেই বন্ধুত্ব নয়। সামান্য ভুলে হতে পারে বড় ধরনের ক্ষতি। তাই সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
Leave a reply