বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। কেবল চট্টগ্রাম ইপিজেডেই আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী দেশটির এক কোম্পানি। এ কাজে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ জ্বালানির নিশ্চয়তা সবচে’ জরুরি বলে মনে করে দক্ষিণ কোরিয়া। রাষ্ট্রদূত বলছেন, পরিবেশ নিশ্চিত হলে বাংলাদেশ হবে এ অঞ্চলের বিনিয়োগ হাব।
কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে উঠেছে কোরিয়ার মালিকানাধীন রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা। প্রায় আড়াই হাজার একর জমির ওপর ইপিজেডটির পঞ্চাশ শতাংশ জুড়েই করা হয়েছে বনায়ন। দু’দশকের বেশি সময় ধরে চালু ইপিজেডের ভেতরে আছে অনেক জলাধার। এ অঞ্চলের এখন সবচে’ পরিবেশবান্ধব ইপিজেড এটি।
এখানকার ৩২ কোম্পানিতে কাজ করে ২৫ হাজারের বেশি শ্রমিক। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিনিয়োগ অব্যাহত থাকলে কাজ পাবে আরো লাখখানেক শ্রমিক।
ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা আরো বড় করতে চাই আমরা। আরো ৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি। আর তা হলে অনেক মানুষের কাজের ব্যবস্থাও হবে এখানে।
গ্রিডের পাশাপাশি সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে এখানে। আপাতত সোলার থেকে ৫ মেগাওয়াট পেলেও ভবিষ্যতে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৪০ এ। উদ্যোক্তারা আরও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ চান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলছেন, ভিয়েতনাম এ ক্ষেত্রে সফলতার বড় উদাহরণ।
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন বলেন, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ যথেষ্ট। কোন ঝামেলা ছাড়া দ্রুত বিনিয়োগের ছাড়পত্র চান তারা । আপনাদের আশপাশের প্রতিদ্বন্দ্বী অনেক দেশই কিন্তু এই প্রক্রিয়া সহজ করে ফেলেছে। যার ফলাফল হচ্ছে সে সব দেশে আকৃষ্ট হচ্ছে উদ্যোক্তারা। ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দু হবে।
করোনা মহামারিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে দাবি তাদের।
Leave a reply