ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় গাইবান্ধায় অর্ধদিবস হরতাল আহবান

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার এবং ৪ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১০ জুন গাইবান্ধা জেলা শহরে অর্ধদিবস হরতাল আহবান করেছে ‘হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ’।

হরতাল সফল করার লক্ষ্যে সোমবার (০৭ জুন) গাইবান্ধা শহরের স্টেশন রোডের আফজাল সুজ এর সামনে ও কাচারী বাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভা থেকে বক্তারা আগামী ১০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল সফল করতে গাইবান্ধার ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহবান জানায়।

হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের ৪ দফা দাবি হচ্ছে, অবিলম্বে হাসান হত্যার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার, সদর থানার ওসিকে অপসারণসহ অভিযুক্ত ওসি (তদন্ত) ও অপর এএসআইকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা, হাসান হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং গাইবান্ধা জেলায় অবৈধ দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ।

হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম গোলাপের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন, নিহত হাসান আলীর স্ত্রী বিথী বেগম, পুত্র কায়েস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, জেলা বার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ওয়াজিউর রহমান রাফেল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল গাইবান্ধার দাদন ব্যবসায়ী আ’লীগের বহিষ্কৃত নেতা মাসুদ রানার বাড়ীতে ২৬ দিন অপহৃত থেকে নিহত হন হাসান আলী। তার স্ত্রী স্বামীকে উদ্ধারের জন্য সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার না করে উল্টো মাসুদ রানার কাছেই হাসানকে তুলে দেয়া হয়। পরে ১০ এপ্রিল হাসানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসানের স্ত্রী বাদি হয়ে সদর থানায় মাসুদ রানাসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর মাসুদ রানাকে পুলিশ আটক করলেও অপর দুই আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।

এদিকে, হাসান হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবীতে গাইবান্ধার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আন্দোলনে নামে এবং গঠিত হয় হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ।

এর আগে, গত ৩১ মে গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান ও আইজিপি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি থেকে হাসান মঞ্চের নেতৃবৃন্দ আগামী ৭ দিনের মধ্যে সদর থানার ওসি’র অপসারণসহ ৪ দফা দাবি জানান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply