হুবহু অবয়ব বা মূর্তি তৈরিতে মিশরের সুখ্যাতি হাজার বছরের। এই ধারাবাহিকতা বজায় আছে এখনও। দেশটির কনুজ নামের কারখানায় তৈরি হচ্ছে প্রাচীন সব নিদর্শনের প্রতিকৃতি। এখন যে কেউ চাইলেই বাড়িতে নিয়ে আসতে পারবেন প্রাচীন সব নিদর্শন। তবে আসল নয়, রেপ্লিকা।
১০ হাজার বর্গ মিটার জায়গা জুড়ে এই কারখানায় কাজ করছে দেড় শতাধিক শ্রমিক। যারা সবাই নিদর্শনের অবয়ব তৈরিতে বিশেষ পারদর্শী। গেলো মার্চে যাত্রা শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার রেপ্লিকা তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কনুজ কারখানার বিশেষজ্ঞ সালেহ হাসান জানায়, কায়রোর মার্কেটে যেসব রেপ্লিকা পাওয়া যায় সেগুলর মান ততোটা উন্নত না। কিন্তু আমাদের এখানকার সব গুলোই জাদুঘরে রাখা নিদর্শনের মতো। দেখে কোন পার্থক্য ধরতে পারবে না কেউ। মনে হবে আসলের মতোই। সবগুলোই অনেক মূল্যবান।
শুধু রাজা রানীর প্রতিকৃতিই নয় তারা যেসব আসবাবপত্র ব্যবহার করতেন সেগুলোও হুবহু বানিয়ে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাথর, কাঠ, সিরামিক, এমনকি স্বর্ণ ও রুপাও। যা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। স্বর্ণ খচিত একটি মুখোশের দাম ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ডলার।
পাশাপাশি প্রতিটি নিদর্শণের পেছনে জুড়ে দেয়া হয়েছে বারকোড। যা স্ক্যান করলেই মিলবে নিদর্শনটির সম্পর্কে যাবতীয় সকল তথ্য। কোথায় রয়েছে এর প্রকৃত অবয়ব তাও জানা যাবে।
কারখানাটির প্রযুক্তি বিষয়ক পরিচালক হানি আহমেদ জানায়, আমরা অনেক উন্নত মানের উপাদান দিয়ে এগুলো তৈরি করি। মানের দিক থেকে কোন ছাড় নেই। প্রতিটি নিদর্শনই আসলটা দেখে করা। সুতরাং, এই পণ্য গুলো মিশরের অন্যান্য মার্কেটে পাবেন না।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মিশরে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক। সেই সাথে বাড়ছে রেপ্লিকার বেচাকেনা। দেশবিদেশের ভ্রমণপিপাসুদের কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে রেপ্লিকার বিশাল বাজার।
Leave a reply