পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ী নীরব মোদির ঋণ নিয়ে তোলপাড় চলছে ভারতের গণমাধ্যমে। সাড়ে ১১ হাজার কোটি রূপি ঋণ আদৌ শোধ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই আলোচনা-সমালোচনা আরও একটু ঘি ঢালতেই যেতে টেনে আনা হয়েছে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর উদাহরণকে। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন।
নতুন করে এনিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হওয়ায় লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ছেলে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অনিল শাস্ত্রী জানিয়েছেন, “বাবা কোনোদিন অফিসের গাড়ি ব্যবহার করতে দিতেন না আমাদের। আর পাঁচজনের মত সাধারণভাবেই স্কুল-কলেজে যেতাম আমরা। সে হিসেবে গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই গাড়ি কিনতে গিয়েই ঋণ নেয়া হয়”।
সালটা ছিল ১৯৬৪। সেইসময় শাস্ত্রী জানতে পারেন ১২০০০ টাকা দামে একটি ফিয়াট গাড়ি বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকে মাত্র ৭ হাজার টাকা জমা আছে তার। তাই বাকি টাকাটা ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। যেদিন আবেদন করা হয়, সেদিনই অনুমোদন হয় ঋণ।
১৯৬৬-র ১১ জানুয়ারি তাসখন্দে ভারত-পাকিস্তান শান্তিচুক্তির পরই রহস্যজনকভাবে হয়ে মৃত্যু হয় লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী পেনশনের টাকা থেকে পিএনবি-র সেই ঋণ শোধ করেছিলেন। সম্ভবত এখানেই চলে আসে সেকাল-একাল আর নীরব মোদির সাথে শাস্ত্রীর তুলনাটা।
তখন একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারকে ৫ হাজার রূপী ঋণ পরিশোধ করতে হয় পেনশনের অর্থ দিয়ে। আর এই জামানায় এসে নীরব মোদির মতো হীরে ব্যবসায়ী সাড়ে ১১ হাজার কোটি রূপী ঋণ পেয়ে যান, যা আদৌ কখনও ফেরত মিলবে কিনা জানা নেই কারোর।
Leave a reply