মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
বিয়েতে রাজি না হওয়ায় চামেলী আক্তার নামে এক স্বাস্থ্য সহকারীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠেছে মানিকগঞ্জে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে এক স্কুল শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। জেলার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, স্বাস্থ্য সহকারী চামেলী আক্তার বর্তমানে দৌলতপুর হাসপাতালে ডেপুটেশনে রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে কাজ করেন। এরপর হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে হাসপাতালের অদূরে ওৎ পেতে থাকা শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী ফরিদ মিয়াসহ কয়েকজন যুবক জোর করে একটি মাইক্রোবাসে চামেলীকে তুলে নিয়ে যায়।
চামেলীর ভাই দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা জানান, বছর খানেক আগে পারিবারিকভাবে তার বোনের সাথে ফরিদ মিয়ার বিয়ের কথাবার্তা হয়। ফরিদসহ তার পরিবারের লোকজন চামেলীকে দেখতেও এসেছিলেন। তবে, তাদের পরিবারের কেউ ফরিদ মিয়াকে পছন্দ করেননি। যে কারণে তারা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি।
ঘটনা জানার পরপরই জুয়েল বাদি হয়ে ফরিদ মিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। ফরিদ মিয়ার কর্মস্থলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার দিন তিনি অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন।
শিবালয় উপজেলা পরিবার কল্যাণ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. আরশাদ উল্লাহ জানান, ফরিদ মিয়ার সাথে চামেলী আক্তারের বিয়ে ঠিক হয়েছিল বলে তিনি জানতেন। কিন্তু অপহরণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
ফরিদ মিয়ার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। পরিবার থেকেও ফরিদ মিয়ার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার কর্মকার জানান, অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার ভোরে শিবালয় উপজেলার একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ফরহাদ হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ফরিদ মিয়ার মামা হন ফরহাদ হোসেন। ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
যমুনা অনলাইন: বিকে/টিএফ
Leave a reply