সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চল আফরিনে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তুরস্কের সেনা অভিযান শুরুর একমাস পর প্রথমবারের মতো অঞ্চলটিতে প্রবেশ করেছে সিরীয় সেনারা। এদিকে আসাদ বাহিনীকে কঠোরভাবে দমন করে কুর্দিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
এরই মধ্যে আফরিনে প্রবেশের সময় সরকারি বাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে এরদোগান বলেন, কুর্দিদের হঠিয়ে শিগগিরই আফরিনের দখল নিতে যাচ্ছে তুর্কি সেনারা।
এদিকে আফরিন ইস্যুতে অচলাবস্থা কাটাতে দামেস্ক ও আঙ্কারাকে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। পাকিস্তান সফররত রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংকট এড়াতে দ্রুত কুর্দিদের নিয়ে বিভক্তি মেটাতে উদ্যোগী হওয়া উচিত সব পক্ষের।
সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, তুরস্কের নিরাপত্তা নিয়ে সৃষ্ট সংকটের আইনিভাবে এবং সিরিয়া সরকারের সাথে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব। এমনিতেই নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত মধ্যপ্রাচ্যে দিনদিন বিভক্তি বাড়ছে। এ অবস্থায় কুর্দি ইস্যুতে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে- এমনটা কারোরই কাম্য নয়।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম বুধবার বলেছেন, আফরিনে তুর্কি বাহিনীকে যে কেউ বাধা দিতে দিলে ভয়াবহ পরিণত বরণ করতে হবে। যারাই কুর্দি বিদ্রোহীদের সহায়তার চেষ্টা করবে তাদেরকেই সন্ত্রাসী হিসেবে লক্ষ্যবস্তু বানাবে আঙ্কারা।
৭ বছর ধরে চলা সিরিয়ান গৃহযুদ্ধে এই প্রথম সিরিয়া ও তুরস্কের সেনাবাহিনী মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তুর্কি সীমান্তবর্তী উত্তর সিরিয়ায় প্রভাবশালী কুর্দি বিদ্রোহী ওয়াইপিজি’কে নিজেদের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখে আঙ্কারা। এদের দমনে গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো সীমান্তের ওপারে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক।
Leave a reply