লালমনিরহাটে বিভিন্ন লেখকদের জনপ্রিয় বইয়ের মলাটের ডিজাইনে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। যেখানে জায়গা পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে হুমায়ূন আহমেদ পর্যন্ত বিভিন্ন যুগের ৫০ জন লেখকের ৫০টি বইয়ের মলাট। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেয় দইখাওয়া আদর্শ কলেজ কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখেই দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা-চাপারহাট আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত দইখাওয়া আদর্শ কলেজ। যেখানে নির্মিত হয়েছে ব্যতিক্রমী তোরণ।
কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, বইগুলোর সংযোজন তাদের বই পড়ার ক্ষেত্রে নতুন অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করেছে। এই তোরণে যেসব বই দেয়া আছে সেগুলো তারা গ্রন্থাগারে গিয়ে খুঁজে পড়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান।
দেশি বিদেশি লেখকদের জনপ্রিয় বইয়ের মলাট আমলে নিয়ে নকশা করা হয়েছে তোরণের। শুধু প্রবেশপথই নয়, কলেজ প্রাঙ্গনে শহীদ মিনারের ডিজাইনেও প্রাধান্য পেয়েছে চিরবন্ধু- বই। শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতেই ব্যতিক্রমী এই আয়োজন, জানালেন অধ্যক্ষ।
দইখাওয়া আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এই কন্সেপ্টটি খুবই সহজ। পুস্তক তোরণের সাথে দুটো হাত এবং হাতের মধ্যে আছে একটি গ্লোব। এর মানে বোঝানো হচ্ছে, বই পড়লে পৃথিবীটাকে হাতের মুঠোয় আনা যায়।
এক হাজার তিনশো শিক্ষার্থীর কলেজে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে ১০ লাখ টাকা। গত ২৬ মার্চ তোরণটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা থাকলেও করোনায় কলেজ বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
Leave a reply