বাবা-মা-বোন-দাদিকে মেঝেতে জীবিত পুঁতে চার মাস ঘরেই ছিলো যুবক

|

প্রথমে ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন, এরপর মুখে টেপ দিয়ে, হাত-পা বেঁধে ঘরের ভেতর মাটি খুঁড়ে পরিবারের চার সদস্যকে পুঁতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার কালিয়াচকের এক যুবক। তার নাম আসিফ (১৯), পড়ছে একাদশ শ্রেণিতে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় সে। হত্যার পর চার মাস ওই বাড়িতে একাই কাটিয়েছে সে। এই সময়ে মেশেনি বাইরের কারও সঙ্গে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, এই চার মাস সে বাড়িতে পরিচারিকাকেও ঢুকতে দেয়নি। খাবার খেত অনলাইনে অর্ডার দিয়ে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ’র সংবাদে এই চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনা উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, খুনের প্রায় চার মাস পর বাড়ি বিক্রি করতে চায় আসিফ। তখনই বাড়ি বিক্রি মোড় নেয় সিনেমার গল্পের মতো।

আসিফের বড় ভাই আরিফ পুলিশের কাছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে পরিবারের চারজনকে হত্যার অভিযোগ আনে। সে জানায়, তাকেও খুন করে ফেলার চেষ্টা করেছিল আসিফ। কোনোরকমে পালিয়ে বাঁচে সে। এরপর প্রাণভয়ে কলকাতায় পালিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার (১৮ জুন) মধ্যরাতে আসিফকে কালিয়াচক থানা পুলিশ আটক করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসায় পরিবারের চারজনকে খুন করে বাড়িতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেছে আসিফ। খুনের ঘটনা নিশ্চিত হতে শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় কালিয়াচক থানা পুলিশ। সেখানেই মেঝের নিচের মাটি খুঁড়ে বের করা হয় চারজনের দেহাবশেষ।

পুলিশের বরাত দিয়ে এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, শুধু খুনই নয় এর আগে বাড়িটি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছিল আসিফ। তল্লাশির সময় পুলিশ সেখান থেকে লক্ষাধিক টাকা, অস্ত্র, কম্পিউটার ও দামি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply