কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
বোরো ধান কাটার পর জমিতে ফেলে রাখা কাটা ধানের রেটুন (গোছা) পরিচর্যা করে আবারও মিলছে ধান। এমন অভিনব ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামে। জেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে জেলার দুই শতাধিক কৃষক ৭৫ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই কাটা রেটুন থেকে বিঘাপ্রতি প্রায় ৬ মন ধান পেয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বোরো ধান কেটে ফেলার পর প্রায় দুই মাস জমি ফাঁকা পরে থাকে। এ সময় কাটা ধানের রেটুন খেয়ে ফেলে গবাদিপশু। এই রেটুন যত্ন করলে আবার ধান পাওয়ার পরীক্ষায় সফল হয়েছে কুড়িগ্রামের কৃষক।
সোমবার (২১ জুন) জেলার রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের মুসফৎ নাকেন্দা গ্রামে কৃষক অশ্বিন কুমার ও কৃষক সুব্রত কুমারের জমিতে প্রাপ্ত ধান মেশিনের সাহায্যে ক্রপ কাটিং করা হয়। এতে বিঘায় ৬ মণ এবং একরে গড়ে ১৭ মণ ধান পাওয়া যায়।
এদিকে স্বল্প খরচে মাঠে ফেলে রাখা গোছা থেকে ধান পেয়ে উচ্ছ্বসিত সেখানকার কৃষকেরা। সেখানে একদিকে চলছে আমন ধানের প্রস্তুতি। অন্যদিকে, বোরো ধানের রেটুন পরিচর্চা করে পুনরায় ফসল পেয়ে খুশি কৃষক। তাদের জমিতে রেটুন থেকে ধান জন্মানো দেখতে আসা অনেক কৃষকই আগ্রহী হচ্ছেন এই প্রকল্পে।
এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আকতার জানান, জেলায় ৭৫ একর জমিতে রেটুন থেকে পুনরায় ধান উৎপাদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজারহাট উপজেলায় সর্বাধিক ২৫ একর জমিতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, বোরো ধান কাটার পর ৬০ থেকে ৭০ দিন জমি পরে থাকে। বিশেষ করে ২৮ ধানের রেটুন থেকে পূনরায় কুশি হতে দেখা যায়। সেই চিন্তা থেকে এবার জমিতে ফেলে রাখা ধানের রেটুন পরিচর্যা করে পুনরায় ধান উৎপাদনে কৃষক সফলতা দেখিয়েছে। আগামীতে আরও কৃষককে সম্পৃক্ত করা হবে।
Leave a reply