ম্যাচে শেষে পর্তুগালের খেলোয়াড়রা তখন দর্শকদের উদ্দেশ্যে তালি দিচ্ছিলেন, প্রকাশ করছিলেন অবিরাম সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ হেরে বিদায় নেয়া পর্তুগীজ ফুটবলাররা এই আসরের জন্য শেষবারের মতো তাদের সমর্থকদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন।
কিন্তু এসবের মধ্যে ছিলেন না পর্তুগীজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচ শেষে সোজা চলে যান ড্রেসিংরুমে। এই আকস্মিক বিদায়ে আহত তিনি, এই ৩৬ বছর বয়সেও পরাজয়কে তিনি ঘৃণা করেন অন্য যে কারো চেয়ে বেশি।
জিতেছেন গত ইউরো। খেলেছেন এ নিয়ে ৫টি আসর। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে মিশেল প্লাতিনিকে সরিয়ে হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। রেখে গেলেন ২০ গোলের একটা সিলিং, বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে ছুঁতে হবে এই ছাদ কোনো ফুটবলারের। কিন্তু এসবেও যেন মন ভরছে না ক্রিস্টিয়ানোর, তৃপ্ত হচ্ছেন না বিশ্বজুড়ে তার অগণিত ভক্তরা। কারণ খুব সম্ভবত এরপর ইউরোর কোনো আসরেই আর পড়বে না সিআরসেভেনের দৃপ্ত পায়ের ছাপ।
ক্রিস্টিয়ানোকে কখনোই বাতিলের খাতায় ফেলা যায় না। লেখা যায় না কখনোই ক্রিস্টিয়ানোর এপিটাফ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, পরের ইউরোতে তার বয়স হবে ৩৯। আর এরই মধ্যে মাঠ দাপিয়ে খেলার ভূমিকাকে পরিবর্তন করে ক্রিস্টিয়ানো করছেন নাম্বার নাইনের ডি-বক্স কেন্দ্রীক আনাগোনা। অনুমিতভাবেই তাই ইউরোতে আবারও রোনালদোকে দেখার আশা খুবই ক্ষীণ।
দেড় বছর দূরে আছে কাতার বিশ্বকাপ। সেটাই হয়তো হতে যাচ্ছে সিআরসেভেনের পরবর্তী ও শেষ মিশন। কারণ এটাই একমাত্র মেজর ট্রফি, যেটা নেই ক্রিস্টিয়ানোর ট্রফি ক্যাবিনেটে।
Leave a reply