ভিন্ন দুই ব্র্যান্ডের দুই ডোজ ভ্যাকসিনে ইতিবাচক ফল মিলেছে যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায়। সোমবার প্রকাশিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, একই ব্যক্তি আলাদা কোম্পানির দুই ডোজ টিকা নেয়ার পর তৈরি হয়েছে অধিক শক্তিশালী অ্যান্টিবডি। বিশ্বজুড়ে টিকা সরবরাহ নিয়ে জটিলতায় এই গবেষণার ফল আশার আলো দেখাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বের অনেক দেশেই এখন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের টিকা পাওয়া নিয়ে তীব্র সঙ্কটে। আর এ সময়ে এলো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আশাব্যঞ্জক গবেষণা প্রতিবেদন।
কম কোভ শিরোনামের গবেষণায়, ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে দু’টি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুই ডোজ করোনা টিকা দেয়া হয় স্বেচ্ছাসেবীদের। মোট ৮৩০ জন অংশ নেন এই পরীক্ষায়। মিশ্র ডোজের এই পরীক্ষায় একেকজনের ওপর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারের টিকার ভিন্ন ভিন্ন কম্বিনেশন প্রয়োগ করা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই একই কোম্পানির দুই ডোজের তুলনায় অধিক সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রমাণ মিলেছে। বেশি শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরির পাশাপাশি টি-সেল রেসপন্সও ইতিবাচক।
ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম্যাথিউ স্নেপ বলেন, আমরা ফাইজার আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ পদ্ধতিতে গবেষণা চালিয়েছি। আর দেখেছি, সেকেন্ড ডোজের ক্ষেত্রে আলাদা টিকা ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বরং এর ফলাফল আরও কার্যকর বলে প্রমাণ পেয়েছি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক এই গবেষণার ফল। বিশেষ করে যেসব দেশে টিকার ঘাটতি, সেসব দেশের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এ গবেষণা। ভিন্ন দুই ধরনের টিকা প্রয়োগের সুযোগ তৈরি হলে আরও গতিশীল হবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম।
ইউরোপীয় কিছু দেশ অবশ্য আগে থেকেই ভিন্ন কোম্পানির দুই ডোজ টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। স্পেন ও জার্মানিতে প্রথম ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ হলেও পরবর্তী ডোজে দেয়া হচ্ছে ফাইজার অথবা মডার্নার টিকা। সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিতে টিকার দুই ডোজ পূর্ণ করা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউএইচ/
Leave a reply