জিম্বাবুয়ে সফরে টিম লিডার হিসেবে কেন গেলেন না খালেদ মাহমুদ সুজন? শুধুই পারিবারিক কারণ নাকি অন্যকিছু। সুজন নিজেই স্বীকার করছেন হাথুরুসিংহের মত রসায়নটা জমেনি বর্তমানের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সাথে। এমনকি শ্রীলঙ্কার সফরে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশ নিয়েও কোচের সাথে ছিল মতবিরোধ। সেটা প্রকাশ্যে স্বীকারও করলেন এই পরিচালক।
হারতে থাকা একটা দলকে ট্র্যাকে ফেরাতে খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে ফিরতে হয় বিসিবিকে। টিম লিডার করেই তাকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পাঠান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দায়িত্বে ছিলেন ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষেও। কিন্তু বিসিবির গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন কেন হঠাৎই জিম্বাবুয়ে সফর থেকে সরে দাঁড়ালেন?
তবে ব্যাপারটা কি শুধুই পারিবারিক? সুজনের কথাতেই আছে অন্যকিছুর ইঙ্গিত। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সাথে সম্পর্ক টেনে দিয়েছেন নতুন তথ্য।
সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং বর্তমান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মধ্যে পার্থক্য দেখিয়েছেন বিসিবির এই পরিচালক। খালেদ মাহমুদ জানান, হাথুরুর সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে পারতেন তিনি। আরও বলেন, প্রত্যেকটা কোচের আলাদা দর্শন থাকে। চন্ডিকার সঙ্গে যতদিন কাজ করেছেন, কাজ করতে সুবিধা হয়েছে কারণ চন্ডিকা তাকে গুরুত্ব দিত। টিম লিডারের দায়িত্বে থাকার পরও ক্রিকেট নিয়ে চন্ডিকার সাথে কাজ করতে পারতেন তিনি।
সুজন আরও যোগ করেন, ডমিঙ্গো হয়তো তাকে এখনো বুঝে উঠতে পারেননি। ডমিঙ্গোর দলে তাই সাজেশন দেওয়ার প্রয়োজন হলে সেটা দিচ্ছেন সুজন। তবে সেটা আমলে নেবেন কী নেবেন না, সে সিদ্ধান্ত ডমিঙ্গোর বলেও জানান তিনি।
সুজন বলেন, চন্ডিকার সাথে আমার আলাপ হতো। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে আলোচনা করতাম। ও আমাকে বলত, সেটা আমি শুনতাম বা আমার কিছু বলার থাকলে সেটা বলতাম এবং ও সেটা শুনতো। সেটা আসলে ডমিঙ্গোর সাথে এখনো হয়নি আমার।
পুরনো রসায়নটা যে এবার হয়নি এবং হওয়ার মতো সুযোগও আসেনি, তাও প্রকাশ করলেন বিসিবির এই পরিচালক। জানালেন, একটা জুটি গড়ে উঠতে সময় লাগে। সেই সময়টা হয়তো এই সিরিজে গেলে হতে পারতো বা আরেকটু সময় লাগতো। রাসেলের সঙ্গে আমার খুব একটা ভালো হয়েছে তা বলব না।
জিম্বাবুয়ে সফরে ডমিঙ্গো পাচ্ছেন না সেই সুজনকে। স্বাধীনতা পাচ্ছেন কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গেল দুই সিরিজের সাফল্য ধরে রাখতে পারবেন তো রাসেল ডমিঙ্গো?
Leave a reply