জনপ্রিয় কবি হেলাল হাফিজ তার গৃহীজীবন ত্যাগ করে আবার হোটেল জীবনে ফিরে গেছেন। তবে তোপখানা সড়কের হোটেল কর্ণফুলীতে নয়, এবার কবি বাস শুরু করলেন সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র শাহবাগের ‘সুপার হোম’ হোটেলে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে তিনি হোটেলবাসী হয়েছেন। গত পরশুদিন তার জিনিসপত্র হোটেলে নিয়ে আসা হয়।
হেলাল হাফিজ জানিয়েছেন, আমি আমার আগের হোটেল কর্ণফুলীতেই উঠতাম কিন্তু করোনার কারণে প্রেসক্লাব বন্ধ তাই খাবো কোথায়? এইজন্য আর ওখানে উঠা হয়নি। শাহবাগের সুপার হোম হোটেল বেশ ভালো। এখানে তিনবেলা খাবার সরবরাহ করে। খাওয়ার কোনো সমস্যা নেই। না খেলে তো মরে যাবো।
ইস্কাটন রোডে তার ভাইয়ের বাসা ছাড়ার প্রসঙ্গে বলেন, আমার বড় ভাইয়ের ওখানে বেশ আরামেই ছিলাম কিন্তু ওখানে সমস্যা হচ্ছে স্পেসের। রুম কম কিন্তু লোক হয়ে গেছে বেশি। আসলে আমি তো ওই পরিবারের কেউ না। আসলে পরিবার বলতে যা বুঝায় তাতো আসলে আমি নয়। আর ওখানে অনেক বাচ্চা-কাচ্চা আছে। ওদের পড়ালেখার অনেক সমস্যা হয়। না হলে এই লকডাউনের সময়ে কেউ কি এখানে আসে?
তিনি আরও জানান, আমি আসলে হোটেল খুঁজছিলাম অনেক আগে থেকেই কিন্তু সেরকম হোটেল পাইনি। বেশিরভাগ হোটেলেই ভেতরে খাবার ব্যবস্থা নেই। শাহবাগের এই হোটেলে তিনবেলা খাবার ব্যবস্থা আছে তাই এখানে উঠেছি।
‘যে জলে আগুন জ্বলে’ খ্যাত তরুণ ও প্রেমিক প্রেমিকাদের তুমুল জনপ্রিয় অকৃতদার কবি হেলাল হাফিজ ২০১১ সাল থেকে হোটেলে বসবাসের মধ্য দিয়ে কবিতাযাপন শুরু করেন। হোটেল জীবনেই প্রকাশিত হয় তার ভিন্নধর্মী কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’। জাতীয় প্রেসক্লাবসংলগ্ন তোপখানা রোডের হোটেলে অবস্থানকালে কবির জীবন কার্যত ছিল প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক। কবি সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত দিনমানের খাবার খেতেন প্রেসক্লাব ক্যান্টিনে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনাজনিত লকডাউনে প্রেসক্লাব বন্ধ হলে খাওয়া দাওয়া নিয়ে কবি বিপাকে পড়েন। অগ্রজ দুলাল আবদুল হাফিজ কবিকে নিয়ে যান তার ইস্কাটনের বাসায়। এতোদিন সেখানেই ছিলেন তিনি।
ইউএইচ/
Leave a reply