এরপর কী করবেন বেজোস!

|

সিয়াটলের একটি ছোট্ট গ্যারাজে অ্যামাজন তৈরি করার প্রায় ৩০ বছর পর ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানিটির সিইও’র পদ থেকে নেমে যাচ্ছেন জেফ বেজোস। গত সোমবার বেজোসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অ্যামাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং প্রধান অ্যান্ডি জেইসি। সিইও এর পদ ছাড়লেও বেজোস এখনও কোম্পানিটির সবচেয়ে বেশী শেয়ারের অধিকারী ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান হওয়ায় অ্যামাজন বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে থেকে যাবেন। এক সাক্ষাৎকারে বেজোস বলেন, আমি এখনই অ্যামাজন থেকে রিটায়ার করছি না, বরং আমি এখন অন্যান্য কাজে আরও বেশি মনযোগ দিতে পারবো।

সম্ভাব্য অন্যান্য যেসব কাজে বেজোস মনযোগ দিতে পারেন তার মধ্যে প্রথমটি হতে পারে তার স্পেস কোম্পানী ব্লু অরিজিন। ১৯৮২ সালে স্কুলে অসাধারণ ফলাফল করার পর স্থানীয় মিয়ামি হেরাল্ড পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ১৮ বছর বয়েসী জেফ বেজোস বলেছিলেন যে, ৫ বছর বয়স থেকেই আমি স্বপ্ন দেখছি মহাকাশ ভ্রমণের। আমি পৃথিবীর কক্ষপথে মানুষের বসবাসের উপযোগী এমন হোটেল ও অ্যামিউজমেন্ট পার্ক তৈরি করতে চাই যেখানে অবস্থানকালীন সময়ে আমরা পৃথিবীর দূষণ কমিয়ে এই গ্রহকে মানুষের বসবাসের জন্য আরও অধিক উপযোগী করতে তুলতে পারবো। নিজের সে স্বপ্ন পূরণ ও অ্যাপোলো ১১ চন্দ্রজয় মিশনের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২০ জুলাই জেফ তার ভাই মার্ক বেজোসকে নিয়ে মহাকাশ ভ্রমণে তার সেই স্বপ্নযাত্রায় বের হবেন।

এছাড়া মিডিয়া ব্যবসাতেও মনোযোগী হতে পারেন বেজোস। এর শুরুটা অবশ্য হয়েছে আরও ৮ বছর আগে। ২০১৩ সালে ২৫০ মিলিয়ন ডলারে বেজোস কিনে নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট। যাকে তিনি পরে যুক্ত করেন অ্যামাজন কিন্ডলের সাথে। পত্রিকা প্রসঙ্গে বেজোস বলেন, আমি পত্রিকার ব্যবসা সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানিনা তবে আমি ইন্টারনেট সম্পর্কে জানি, আশা করি আমার সে জ্ঞানটুকু কাজে লাগবে।

জনকল্যাণ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও কাজ করতে পারেন বর্তমানের অন্যতম শীর্ষ এই ধনকুবের। ২০১৮ তে বেজোস ডে ওয়ান ফান্ড নামে একটি কল্যাণ তহবিলে জেফ তার মোট সম্পদের ১% বা ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ অনুদান দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহহীন পরিবারগুলোর আবাসন ও নিম্ন আয়ের পরিবারের শিশুদের শিক্ষার কাজে।

বিজ্ঞান ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে এমন সংস্থাগুলোকে সাহায্য করতে বেজোস আর্থ ফান্ড নামের আরেকটি তহবিলে ১০ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন জেফ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন আমাদের গ্রহটাই আমাদের সবার মধ্যে একমাত্র কমন বিষয়, আর এই মুহুর্তে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের গ্রহের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমি সবার সাথে মিলে জলবায়ু পরিবর্তনের জানা ও অজানা দিক গুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাই মিলে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করলে হয়তো আমরা আমাদের গ্রহকে বাঁচাতে পারবো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply