ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরের দ্বন্দ্বের জেরে আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। তবে রাশেদ খাঁন জানিয়েছেন তাদের মধ্যে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল তা সমাধান হয়েছে।
রাশেদ খাঁন যমুনা নিউজকে জানিয়েছেন, আমাদের মধ্যে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছিল, তা দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের আজকের বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমারা দ্রুতই মাসখানেকের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিবো। এর সাথে ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কাউন্সিল দিবো।
রাশেদ খাঁন আরও বলেন, আজকের মিটিংয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে নুরুল হক নুর সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর আমি আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবো।
গত শুক্রবার ‘ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ’র এক যৌথ সভায় কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেইজে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এতে রাশেদ খাঁন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন নুর।
এর পাল্টা জবাবে নুরের ওই ঘোষণাকে ‘অসাংগঠনিক কার্যকলাপ’ আখ্যা দিয়ে রোববার নুরকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন রাশেদ খাঁন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন থেকে ২০১৮ সালে গঠিত হয়েছিল সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। পরে ২০১৯ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে এই সংগঠনের প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়ে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন নুরুল হক নুর। তার আরেক সঙ্গী আখতার হোসেন হয়েছিলেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ করা হয়।
ইউএইচ/
Leave a reply