কর্মস্থল থেকে ঈদে মায়ের কাছে বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল রুপার। ঈদের আগেই বাড়ি ফিরেছে সে; তবে লাশ হয়ে। জীবিত আর মায়ের কাছে ফেরা হল না তার।
আজ বৃহস্পতিবার জাকিয়া সুলতানা রূপার লাশ কবর থেকে তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। লাশ বিকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে রূপার ভাইয়ের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হলে সন্ধ্যার সময় গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তাকে দাফন করা হয়। এসময় শোকেরা ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকাজুড়ে।
ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে গত ২৫ অগাস্ট রাতে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে বাসের কর্মচারীরা রুপাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা করে রাস্তার পাশে লাশ ফেলে যায়।
টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ওই তরুণীর লাশ পাওয়ার পর হত্যার আলামত থাকায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে মধুপুর পুলিশ। কিন্তু পরিচয় জানতে না পারায় ময়নাতদন্ত শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়।
গণমাধ্যমে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে রুপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন তিনি। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে। বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর ময়মনসিংহে ফেরার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন ওই তরুণী।
/কিউএস
Leave a reply