প্রথমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ, এরপরেই শরীরে আক্রমণ করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ধীরে ধীরে বিকল হতে শুরু করে শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, রক্তক্ষরণ দেখা দেয় মস্তিষ্কে। ভারতের মুম্বাইয়ের বাসিন্দা ৫৪ বছর বয়সী ভরত পাঞ্চালের এমন ভয়াবহ শারীরিক অবনতি দেখে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজনও। তবে একেবারেই পিছু হটেননি তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তাররা। ৮৫ দিনের প্রাণপন চেষ্টায় তারা সুস্থ করে তোলেন ভরতকে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, এপ্রিলের শুরু দিকে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ভরত। এরপর থেকেই ভুগতে শুরু করেন প্রবল শ্বাসকষ্টে। হাসপালে আসার পরপরই তার ফুসফুসে বড় ছিদ্র ধরা পড়ে। সেই সাথে দুর্বল হয়ে পড়ে কিডনি ও অন্যান্য জরুরি অঙ্গপ্রত্যঙ্গও।
ভরত জানিয়েছেন, টানা ৭০ দিন তাকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে দিতে হয়েছে, ছিলেন আইসিইউতে। পরিবারের অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে ডাক্তাররা চিকিৎসা চালিয়েই গেছেন।
করোনা চিকিৎসার সম্ভাব্য সবকিছুই তার শরীরে প্রয়োগ করেছেন ডাক্তাররা। রেমেডিসিভির থেকে প্লাজমা থেরাপি সবই গেছে ভরতের শরীরে। শেষ পর্যন্ত ডাক্তারদের ৮৫ দিনের প্রাণান্ত চেষ্টায় গত সোমবার (৫ জুলাই) সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ভরত।
Leave a reply