নারায়ণগঞ্জে আগুনে পুড়ে গেছে একটি খাদ্য সামগ্রীর কারখানা। ১৫ ঘণ্টা পরও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি গতকাল বিকালে লাগা এই আগুন। নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমত ঘাম ঝরাতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিটকে। আগুনে এখন পর্যন্ত দুই নারীসহ তিন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত অর্ধশতাধিক শ্রমিককে ঢাকাসহ স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগার ১৫ ঘণ্টাতেও নেই নিয়ন্ত্রণের লক্ষণ। রাতের চিত্র আরও ভয়াবহ। আগুনের লেলিহান শিখার কাছে যেন অসহায় সব প্রচেষ্টা। বিশাল কারখানা ভবনের পুরোটাতেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
স্থানীয়রা জানান, সেজান ফুড ফ্যাক্টরির এটি নতুন ভবন। ছয়তলা এই ভবনে উৎপাদিত হতো কার্টুন, বিস্কুট, ক্যান্ডি, জুস ইত্যাদি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে কর্ণগোপ এলাকায় সজিব কর্পোরেশনের কার্টোন ও ফুড ইউনিটের ছয় তলা ভবনের নিচ তলায়, আগুনের সূত্রপাত। এসময় আতঙ্কে শ্রমিকরা ছুটোছুটি শুরু করে। কেউ কেউ অবস্থান নেয় ভবনের ছাদে। আতঙ্কে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়লে প্রাণ যায়, স্বপ্না রানী ও মিনা আক্তার নামের দুই শ্রমিকের। পরে ঢাকা মেডিকেলে একজন মারা গেছে।
খবর পেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিস। একে একে যোগ দেয় ১৭টি ইউনিট। রাতভর চেষ্টা চললেও আগুন বাগে আনা যাচ্ছিলো না। ভবনের ত্রুটিপূর্ণ নকশার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সেজান ফুড ফ্যাক্টরিত মাত্র দুইটা সিঁড়ি। এ ভবনের পিছনের দিকে যাওয়া যায় না। এছাড়া ভবনের পূর্ব ও উত্তর দিক দিয়ে ভবনে ঢোকারও কোন রাস্তা নেই। এটি আমাদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা। এছাড়া আশেপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেকশনের ৫টি ফ্লোরে ওভারটাইম কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। তবে দুর্ঘটনার সময় ভবনটিতে কতজন ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিখোঁজদের সন্ধানে স্বজনরা ভবনের সামনে ভিড় করেছেন।
এনএনআর/
Leave a reply