কারও পোষ মাস কারও সর্বনাশ-এমন একটা প্রবাদ বাংলায় প্রচলিত আছে। ট্রাম্পের কর সংস্কারে সাধারণ মানুষ সংকটে পড়লেও ধনকুবের বাফেটের ‘পোষ মাস’-এর মতোই পোয়াবারো অবস্থা
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদন করা সংস্কার নীতির ফলে ওয়ারেন বাফেটের প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বেড়েছে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
মার্কিন সাময়িকী ফরচুনের তথ্য অনুসারে, ৮ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমান সম্পদ বাফেটের রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরদের দৌড়ে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের পরেই বাফেট রয়েছেন।
গত ডিসেম্বরে অনুমোদন দেওয়া এই নীতিতে কর্পোরেট কর ৩৫ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল।
ট্রাম্পের এই কর সংস্কার নীতি ব্শে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। সংশ্লিষ্টরা বলেছিলেন, ধনীদের সুবিধার জন্য ট্রাম্প এটি বাস্তবায়ন করছে। এতে ধনী ও গরিবের বৈষম্য আরও বাড়াবে।
মজার ও চমকানো বিষয় হচ্ছে, বাফেট এ নীতির বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি যে সঠিক ছিলেন তা তার বর্তমান সময়ের করা মন্তব্য থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়। বাফেট বলেন, ট্রাম্পের কর সংস্কারের কারণে তার বাড়তি মুনাফা হয়েছে।
বাফেটের প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে ২০১৭ সালের নিট মুনাফার অর্ধেকই এসেছে শুধু কর সংস্কার নীতির কারণে।
তিনি বলেন, শুধু বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে পরিচালনায় মুনাফা হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে ডিসেম্বরেই ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার মুনাফা হয়েছে।
কর সংস্কার এই নীতির ফলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত মাসেই এই ধরনের একটি পূর্বাভাস দিয়েছিল ব্রিটিশ ব্যাংক বারক্লেস। তারা জানিয়েছিল, এই নীতির ফলে বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে-এর আয় ১২ শতাংশ বাড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই বিলটি পাস হওয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের জন্য বড় বিজয় ছিল। নিজ দল রিপাবলিকানরা এই নীতির করলেও তারা বলছেন, এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রের ।
এদিকে অমন পোয়াবারো লাভের পরেও আগেই বক্তব্যেই অটল রয়েছেন বাফেট। তার অভিমত, ধনীদের জন্য উচ্চ করারোপ সংশ্লিষ্ট আলাদা কর বিল তৈরি করা উচিত।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply