কোভিড-১৯ এর টিকার জন্য ৮ জুলাই ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইট অ্যাপসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, এখন এসএমএস আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেজিস্ট্রেশনের সময় টিকার স্থান হিসেবে মহাখালী ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট অ্যান্ড হাসপাতাল লেখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন এমনিতে হৃদরোগ, কিডনি, ফুসফুসের নানা জটিলতায় ভুগছেন। তার অবস্থা আগের মতোই। তাছাড়া তিনি জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেত্রী ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, তাই কোথাও গেলে ব্যাপক জনমানুষের সমাবেশ ঘটে। এক্ষেত্রে তার টিকা বাসায় দেয়া যায় কিনা সে বিষয়টা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। প্রথম তিন সপ্তাহ তার চিকিৎসা গুলশানে চলে। পরে পোস্ট কোভিড জটিলতা দেখা দিলে তাকে ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় যা এখনো কার্যকর রয়েছে।
অধ্যাপক জাহিদ জানান, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বাসায় তার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই মনিটরিং করা হচ্ছে তার বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক আব্দুস শাকুরসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই টিমে রয়েছেন।
বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘ ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে গত ১৯ জুন ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন গুলশানের ফিরোজায় ফেরেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে ওই সময়ে করোনা ঝুঁকি দেখা দেওয়ায় তাকে বাসায় স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
Leave a reply