এক জীবনে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়ার সৌভাগ্য হয় না সবার। সেটা পেরেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম। সাহসী দেশপ্রেমিক, সফল উদ্যোক্তা, সফল পিতা। নিজের কর্মক্ষেত্র, ব্যবসায়িক পরিমণ্ডল আর সমাজের অনেক কিছুই বদলে দিয়েছেন তিনি। প্রতিটি কাজের পেছনে ছিল দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা। তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, স্বপ্ন সত্য করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত যমুনা গ্রুপ, এখন হাজার হাজার পরিবারের জীবিকার অবলম্বন। প্রয়াণের এক বছরে সাহসী এই বীরযোদ্ধাকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছে বাংলাদেশ।
আজ মাতৃভূমির কোলে ঘুমিয়ে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম যে মাটিকে শত্রুমুক্ত করতে একাত্তরের রণাঙ্গনে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। সেই মাটির আলিঙ্গনে জাতির সূর্যসন্তান।
এক বছর আগে করোনার কাছে হার মানেন অদম্য নুরুল ইসলাম। বিদায়বেলায় সিক্ত হন রাষ্ট্রীয় সালাম আর সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায়। শেষযাত্রায় মানুষের ঢল আর অশ্রুই প্রমাণ করে অমর কীর্তি গড়েই বিদায় নিয়েছেন তিনি।
একজন সফল দেশপ্রেমিক উদ্যোক্তার নাম নুরুল ইসলাম। সততা, নিষ্ঠা আর ধৈর্য্য নিয়ে এগিয়েছেন। অদম্য ইচ্ছা আর মেধাশক্তি দিয়ে সফল হয়েছেন। বস্ত্র, রাসায়নিক, ইলেকট্রনিক্স, বেভারেজ, মোটরসাইকেল, মিডিয়াসহ ৪১টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। গণমাধ্যমেও একজন সফল উদ্যোক্তা ছিলেন নুরুল ইসলাম। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করেন সফল এই শিল্পপতি। কখনই হননি ঋণখেলাপী।
যমুনা গ্রুপের এই স্বপ্নযাত্রার শুরু ১৯৭৪ সালে। অসীম সাহস আর দেশপ্রেম নিয়েই নেমে পড়েন ব্যবসায়। মেধা আর বিচক্ষণতার মিশেলে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এরপর শুধু এগিয়ে যাওয়া।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে যমুনা গ্রুপ । তার অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নেয়ার দৃঢ়প্রত্যয় গ্রুপের প্রতিটি কর্মীর।
Leave a reply