একটা সময় ছিল যখন কেউ কাউকে হাসালেই তাকে ‘দিলদার’ উপাধি দেয়া হতো। বলা চলে প্রবাদে পরিণত হয়েছিলেন এই অভিনেতার নাম! দেখতে দেখতে ১৮ বছর হলো সেই মানুষটি নেই।
আজ ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা দিলদারের ১৮তম প্রয়াণ দিবস। ২০০৩ সালের এই দিনে ৫৮ বছর বয়সে দিলদারের মৃত্যু হয়।
বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক-নায়িকার বাইরেও সিনেমাতে কিছু চরিত্র থাকে যারা প্রতিমুহূর্তে দর্শকদের আনন্দ দেয়। পর্দায় যার উপস্থিতিতে দর্শকদের হাসির রোল পড়ে যেত। জীবদ্দশায় হাসির খোরাক যুগিয়েছেন তিনি। যা তাকে এনে দিয়েছিল তুমুল দর্শকপ্রিয়তা। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দিলদার।
১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। তিনি এসএসসি পাস করার পর পড়ালেখা ছেড়ে দেন। দিলদারের স্ত্রীর নাম রোকেয়া বেগম। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান।
১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামে সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন শুরু করেন। আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। অভিনয় করেছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলীর জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে।
২০০৩ সালে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন দিলদার।
এনএনআর/
Leave a reply