গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রহমান রকিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি ও দাদন ব্যবসায়ী কাঞ্চনের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে আগুনে তার চেম্বার, বাড়ির ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
সোমবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের পূর্বপাড়ায় কাঞ্চনের বাড়িতে এই আগুন দেওয়া ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে গাইবান্ধার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে আগুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক জানান, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তারা। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের আগুন নিভাতে বাঁধা দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও একটি চেম্বার, বাড়ির ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাফুজার রহমান জানান, হঠাৎ করে আসামি কাঞ্চনের বাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যার ঘটনা তদন্ত করাসহ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত রবিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহর থেকে আশিকুর রহমান রকিসহ তিনজন মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা শহরের পূর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে পৌঁছালে হঠাৎ করে তাদের ওপর হামলা চালায় কাঞ্চনসহ তার সহযোগীরা। এতে ছুরিকাঘাতে রকিসহ তিনজন গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রকিকে মৃত ঘোষণা করেন। রকির সাথে থাকা প্লাবন ও সোহেল মিয়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রকিকে হত্যার ঘটনায় সোমবার দুপুরে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তার বড় ভাই আতিকুর রহমান সরকার। মামলায় দাদন ব্যবসায়ী কাঞ্চনকে প্রধানসহ চারজন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে বাদ আছর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে রকির লাশ দাফন করা হয়।
Leave a reply