জিম্বাবুয়ের মাটিতে ১২ বছর পর সিরিজ জেতার জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৪১ রান। এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলে জিম্বাবুয়ে।
বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেয় তাসকিন। প্রথম ওভারেই এই ডানহাতি পেসারের বল কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন একাদশে জায়গা পাওয়া তিনেশে কামুনহুকম্বে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মিরাজকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওভারের পাঁচ নম্বর বলে নিজের ট্রেডমার্ক সুইং করে ভেতরে ঢোকা বলে তাডিওয়ানাশে মারুনামার উইকেট ভাঙেন মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ২ চারে ১৩ রান করেন তাডিওয়ানাশে।
তৃতীয় উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়ে টেইলর ও চাকাবা প্রতিরোধ গড়েন। তবে সেই জুটিতে আঘাত হানে সাকিব আল হাসান। ১৬তম ওভারে সাকিব বোল্ড করেন চাকাবাকে। ৩২ বলে ২৬ রান করে ফেরেন জিম্বাবুয়ের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। সাকিবের আর্ম ডেলিভারি ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করে।
৩ ব্যাটসম্যানকে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয় বেশ খানিকটা সময়। ১০০ এর ঘরে তাদের প্রয়োজন হয় ২৩.৪ ওভার।
এরপর জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর বাংলাদেশের বোলিংয়ের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে রান তুলছিলেন অনায়াসে। কিন্তু হিট উইকেটে আউট হয়ে টেইলর ফিরলেন সাজঘরে। পেসার শরিফুল ইসলামের লেন্থ বল আপার কাট করতে চেয়েছিলেন টেইলর। ব্যাট-বলের টাইমিং হয়নি। এরপর শটের শ্যাডো প্র্যাকটিস করে ব্যাট নামাতে গিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করেন। বেলস পরে গেলে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা আউটের আবেদন করেন। দুই অনফিল্ড আম্পায়ার নিজেদের মধ্যে কথা বলে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য চান। টিভি রিপ্লে দেখে টেইলরকে আউট দেন আম্পায়ার। শরিফুল পেয়ে যান প্রথম উইকেট।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।শরিফুল সর্বোচ্চ ৪টি, সাকিব ২টি, মিরাজ, তাসকিন, সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট তুলে নেয়।
Leave a reply