এশিয়ায় করোনার নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতালে মিলছে না ঠাঁই। শয্যা ও চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি মিলছে না অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন। চিকিৎসার অভাবে বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করছে অনেকেই। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
করোনায় তীব্র শ্বাসকষ্ট হলেও জায়গা মেলেনি হাসপাতালের বেডে। ফলাফল বাড়িতেই চিকিৎসাহীন অবস্থায় মৃত্যু। সমগ্র ইন্দোনেশিয়া জুড়েই যেন মৃত্যুর মিছিল। মরদেহের সৎকার করতে গিয়ে যেন হাঁপিয়ে উঠছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
আতঙ্কে স্বজনরাও মরদেহের কাছে ঘেঁষছেন না। তাই তাদের গোসল থেকে শুরু করে দাফন পর্যন্ত সবটাই করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
ইন্দোনেশিয়ার মরদেহ সৎকারে নিয়োজিত সংগঠন আন্ডারটেকার টিমের সমন্বয়ক রিনো ইন্দিরা গুস্তাওয়ান বলেন, প্রথম দিন আমরা মাত্র একটা ফোন পেয়েছিলাম। কারণ তখন এতোটা পরিচিতি পায়নি নম্বর গুলো। এখন পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে দিনে ২৫ থেকে ৩০টা ফোন পাচ্ছি বাড়ি থেকে মরদেহ আনার জন্য। সবচয়ে করুন অবস্থা বোগর শহরে।
ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতালগুলোতে রোগীদের প্রয়োজনের ১০ ভাগ অক্সিজেনও সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তাই ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে রোগীদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয়াবহ ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পরও বিধি নিষেধের তোয়াক্কা করেনি বেশির ভাগ মানুষ। চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপে উদাসীন সরকারও।
ইন্দোনেশিয়ার আরেকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রোজেক্ট হোপস এর নির্বাহী পরিচালক ইদহেই রহমাত বলেন, রোজার ঈদের সময় কাউকে বিধি নিষেধ মানানো সম্ভব হয়নি। এই কারণেই গোটা দেশের পরিস্থিতি এতোটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। খুবই খারাপ অবস্থা জাভা দ্বীপের। সেখানকার কোন হাসপাতালেই অক্সিজেন নেই। এ কারণে রোগীও ভর্তি নিচ্ছে না হাসপাতালগুলো।
গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে গড়ে দৈনিক প্রাণহানি হাজারের বেশি। প্রতিদিন নতুন শনাক্ত হচ্ছে ৫০ হাজারের ওপরে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা চিকিৎসকদের।
Leave a reply