প্রখ্যাত সাংবাদিক সায়মন ড্রিংয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, সায়মন ড্রিং বাংলাদেশে গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন খবর ও ঘটনা প্রবাহ বিশ্বের গণমাধ্যমে তুলে ধরার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে জানাতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। তার প্রচারিত সংবাদ মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও পরীক্ষিত বন্ধুকে হারালো। রাষ্ট্রপতি সায়মন ড্রিং-এর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ এর কালরাতের চাক্ষুস সাক্ষী ছিলেন সাইমন ড্রিং। পাকিস্তানী সৈন্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বেরিয়ে পড়েন ২৭ মার্চ সকালে। লিখেন, ট্যাংক ক্র্যাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান শিরোনামে এক বিস্ফোরক প্রতিবেদন। তার পরপরই প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনে উঠে আসে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বর্বরতার চিত্র। বিশ্ব জনমত চলে আসে মুক্তিকামী বাঙালির পক্ষে।
সাইমন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ,অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। শুক্রবার চিরবিদায় নিয়েছেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সায়মন ড্রিং।
Leave a reply