পূর্ণিমার জোয়ার ও লঘুচাপের প্রভাবে কক্সবাজারে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। সকালের অতিজোয়ারে সাগরে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কক্সবাজার সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টের ২০০ মিটার অংশ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়েছে বিমান বাহিনীর স্থাপনা।
প্রচণ্ড জোয়ারের পানির আঘাতে উপড়ে পড়ছে একের পর এক ঝাউগাছ। এছাড়া জোয়ারের আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে কক্সবাজার হিমছড়ির পরিত্যক্ত মাধবী রেস্টহাউসটি।
শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টে এ দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সৈকত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, পূণিমার জোয়ার ও লঘুচাপের ফলে সাগরে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ডায়াবেটিক পয়েন্টে সৈকতের ২০০ মিটার অংশ সাগরে বিলীন হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অংশে জিও ব্যাগ দিয়ে প্রতিরক্ষার কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ জানান, সৈকতের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মেরামত করা হবে যাতে ভবিষ্যতে আর ক্ষয়ক্ষতি সাধিত না হয়।
এদিকে সাগরের জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে ধ্বসে পড়েছে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডের হিমছড়িতে অবস্থিত কক্সবাজার জেলা পরিষদের রেষ্ট হাউজ ‘মাধবি’। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উত্তাল সাগরের বড় ঢেউয়ের আঘাতে রেষ্ট হাউজ ভবনটি ধসে পড়ে। জেলা পরিষদ সুত্রে জানা যায়, ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় তিন বছর আগে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সে থেকে ভবনটি খুবই ঝুঁকিপুর্ণ ছিল। শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হঠাৎ সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে ভবনটি ধসে পড়ে। ধসে পড়া ভবনের বিভিন্ন অংশ আটকে আছে জিও ব্যাগে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সূত্রে জানা গেছে, লঘুচাপের কারণে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকার পাশাপাশি বাতাসও রয়েছে। আগামী কয়েকদিন এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে।
Leave a reply