ফকির আলমগীর বাংলা গণসঙ্গীতের অনন্য নাম। তবে তিনি এখন কেবলই স্মৃতি; গতকাল রাতে সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া নেমেছে।
গানে গানে তিনি বলেছেন মানুষের কথা, শুনিয়েছেন মুক্তির বার্তা। ইট কাঠের শহর কিংবা গ্রামীণ মেঠোপথের জীবন; সবখানেই তার দরাজ কণ্ঠে বিমোহিত হয়েছে অগণিত মানুষ।
জীবনের বেশির ভাগ সময় পেরিয়েছে, সুরের সাধনায়। অর্জনের খাতা ভারি হয়েছে সবার অকুণ্ঠ ভালোবাসায়। তবে সেসব আর ছুঁয়ে দেখা হবে না বাংলা গণসংগীতের কাণ্ডারি ফকির আলমগীরের।
যে শহিদ মিনারে আগে তিনি এসেছেন গানে গানে মানুষের কথা বলতে, আজ তিনিই এখানে সিক্ত হলেন মানুষের ভালোবাসার অশ্রুতে।
এখন আর ঢাকার রাস্তায় হেঁটে হেঁটে কেউ সখিনাকে মনে করিয়ে দেবে না গ্রাম ছেড়ে শহরে আসার যন্ত্রণা। সখিনাকে ভুলে থাকার কষ্ট নিয়ে কেউ আর ঢাকা শহরের কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে দরাজ গলায় গাইবে না গান।
তার মতো করে মাতৃঋণ শোধের কথা বলবে না আর কেউ কখনো। গানে গানে হাতুড়ির শব্দ শোনা হবে না আর মে দিবসে। ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’কেও ডাকবে না আর কেউ।
Leave a reply