কুমিল্লায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। করোনা চিকিৎসার প্রধান দুই হাসপাতাল কুমিল্লা মেডিকেল ও জেনারেল হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি নেই। গ্রাম থেকে শ্বাসকষ্টসহ উপসর্গের রোগীরা নগরমুখী হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের সুচিকিৎসায় সবধরনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
৯০ শয্যার কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা। কেউ চিকিৎসা নিচ্ছেন ফ্লোরে। কেউ সুস্থ হলে কিংবা কারও মৃত্যু হলে তবেই মিলছে শয্যা। এমন আশায় অপেক্ষা, রোগী ও স্বজনদের।
এই হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শ্বাসকষ্টের কারণে মনোহরগঞ্জ উপজেলা থেকে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন তার সন্তান। বৃদ্ধের অক্সিজেন স্যাচুরেশন আশির ঘরে। দ্রুতই দিতে হবে অক্সিজেন। তবে কোনো শয্যা খালি নেই জেনারেল হাসপাতালে। এই অবস্থায় তিনি অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হয়ে পড়েন দিশেহারা।
হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনেরা জানান, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে শুধু চিকিৎসা নিয়েই নয় বাড়তি দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে করোনা চিকিৎসার বাড়তি ব্যয় নিয়েও। আবার সিট খালি না থাকায় এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় কুমিল্লা জেলা জুড়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগও। শয্যা বাড়ানোর পাশাপাশি অক্সিজেন সংকট যেন না হয়, সেদিকেই নজর দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন সিভিল সার্জন।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, এই মুহূর্তে রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করাটাই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। এছাড়াও, রোগীর সেবায় অন্যান্য যেসব সামগ্রী প্রয়োজন সেগুলোরও পর্যাপ্ত মজুদ আমরা রেখেছি।
কুমিল্লা শহর থেকে প্রত্যন্ত জনপদে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার থাবা। চলতি মাসেই জেলায় শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৩৬০ জন। আর এই ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছে ১৯৫ জন।
/এস এন
Leave a reply